দ্যা ড্রিমারিষ্ট

692 36 3
                                    

হালকা সবুজ রংয়ের আকাশটা যেন আজকে খুব কাছে চলে এসেছে । গাঢ় নীল রংয়ের পানিটা কে কেমন জানি একটু ফিকে মনে হচ্ছে সবুজ রংয়ের আকাশটা কাছে । তার উপর সবুজ আকাশের ছায়া পরেছে নীল সমুদ্রের পানির উপর । কেমন একটা মিশ্রন ফুটে উঠেছে সমুদ্রের পানিতে । মনে হচ্ছে অন্য জগতে রয়েছি ।

অন্য জগৎ ?

এই সন্ধ্যা নামবে মনে হয় একটু পরেই । এই আলোতেই নিহিনকে অন্য রকম লাগছে । আমি তাকিয়েই থাকি । বাকি সব যেন থেমে গেছে আমার জন্য ।

-এই কি দেখো ?

-তোমাকে দেখি ।

-ইস । ঢং । আমাকে দেখতে হবে না । দেখো না কি চমৎকার লাগছে সূর্যটা । নীল পানি আর সবুজ আকাশের মাঝে । দেখো না ।

-আমার কাছে অন্য কিছু আছে দেখার ।

-তুমি না !

নিহিনের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখটা একটু লাল হয়ে গেছে ।

আমি এই দৃশ্যটা খুব পছন্দ করি । যেমন টা এই ডুবন্ত লাল সূর্যটা আমার পছন্দ তার থেকেও নিহিনের এই লজ্জা মিশ্রিত চেহারা টা ।

-আমি একটু শোব তোমার কোলে ?

-শোবে ? আচ্ছা ।

আমি আস্তে করে নিহিনের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ি । একটু দুরের ভেসে আসছে নীল সমুদ্রের মৃদু গর্জন সাথে নিহিনের কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকা । আমি চোখ বন্ধ করে এই সময়টা উপভোগ করতে থাকি ।

আমি চাই এমন টা সারা জীবন হোক । এই সময়টা যেন কিছুতেই শেষ না হয় । আমি চাইলে হয়তো আরও লম্বা হবে এই দৃশ্যটা কিন্তু লম্বা করে কি লাভ ।

-এই অপু ।

আমি চোখ খুলে দেখি নিহিন এক ভাবেই ডুবন্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে আছে । আর আলতো করে আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে ।

তাহলে কে ডাকছে ?

-এই অপু ।

ডাকে কে ?

চোখ মেলে দেখি মা ডাকছে ।

-কিরে ক্লাসে যাবি না ?

-হুম । কটা বাজে ?

আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি নটার কাছাকাছি বাজে । জাহিদ স্যারের ক্লাস সাড়ে দশটায় । আমি ধীরে সুস্থে বিছানা ছাড়ি ।

অতি-প্রাকৃত গল্পWhere stories live. Discover now