নিশি ঘরে ঢুকে একটু হতাশ হল । মাহির আহমেদের ফ্ল্যাটটা যেমন হবে ভেবেছিলো তেমনটা মোটেও তেমন নয় ! ও ভেবেই নিয়েছিল যে মাহির সাহেবের ঘরটা হবে খুব বেশি বিশাল বহুল । দামী দামী সব আসবার পত্র দিকে সাজানো থাকবে । কিন্তু ড্রয়িং রুমে ঢুকে সত্যিই একটু হতাশ হতে হল নিশিকে । দামীর জিনিসের ভেতরে দেওয়ালে টাঙ্গালো ৪২ ইঞ্চি স্যামসাংয়ের টিভিটা রয়েছে । ঘরে সোফাসেট রয়েছে তবে সেটা খুব বেশি দামী না । এছাড়া ঘরে আর সব কিছুই সাধারণ তবে রুচিশীল । নিশি ঘরের চারিদিকে চোখ বোলাতে লাগলো । তখন ওর চোখ গেল মাহির আহমেদের দিকে । তার চোখে একটা কৌতুকের আভা দেখতে পেল । চোখে চোখেই যেন সে বলল, টোল্ড ইউ !
নিশির বিরক্তিটা আরো একটু বাড়লো । তার বস সাদ্দাম হোসেনের উপর আরও একটু অসন্তুষ্ট হল এখানে এভাবে তাকে পাঠানোর জন্য! তবে বস বলে কথা ! তার আদেশ কোন ভাবেই অমান্য করার উপায় নেই ।
-মিস নিশি !
নিশি চোখ সরিয়ে নিয়েছিল। আবার মাহির আহমেদের দিকে ফিরে তাকালো । তারপর বলল, বলুন ।
-আমার ফোনটা কি একটু দিবেন?
-কেন?
-রাতের খাবার অর্ডার করতে হবে । আমি সাধারণত আসার সময় বাইরে থেকে খেয়ে আসি নয়তো খাবার নিয়ে আসি । আজকে এসেছি এমন ভাবে যে কোন টা করার সুযোগ পাই নি । সম্ভবত আপনারও অবস্থা একই রকম । রাতে কিছু খেতে তো হবে, নাকি?
নিশি আবারো বিরক্ত হল । সেটা দেখে মাহির আহমেদ চট জলদি বলল, ওকে ওকে । কোন চিন্তা নেই । আপনিই বরং খাবার অর্ডার দিন । আমি বলেছিলাম আমি এই সময় কোন রকম কমিউনিকেশন ডিভাইস ধরবো না । সো, ধরবো না । আমার হয়ে আপনিই অর্ডার দিয়ে দিন ।
নিশি আর কোন কথা বলল না । তবে ব্যাগ থেকে মাহির আহমেদের ফোনটা ঠিকই বের করলো সে । রাতের বেলা খাবার খেতে হবে এটা সত্যি কথা । মাহির সাহের নিজের ফোনটা আগেই তাদের কাছে হস্তান্তর করে দিয়েছে । এমন কি ফোনের পাসওয়ার্ড পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছে । সে বলেছে তার ফোনের ভেতরে এমন কিছু নেই যা অন্য কেউ দেখলে কোন ক্ষতি হয়ে যাবে । ছেলেটাকে নিশি কোন ভাবেই বুঝতে পারছে না । তবে কিছু একটা রহস্য যে আছে সেটা সে জানে । থাকতে বাধ্য ।
YOU ARE READING
অতি-প্রাকৃত গল্প
Horrorমাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।