হাউরেসের মন্দির (রাফায়েল সিরিজ ১৩)

1.4K 55 18
                                    

-ম্যাডাম চেয়ারম্যান সাব আসছে !

মীরার সামনের রোগীটাকে পরীক্ষা করছিলো । কথা শুনে কম্পাউন্ডার লিয়াকতের দিকে ফিরে তাকালো । বলল,

-কোথায় ?

-বাইরে দাড়ায়া আছে !

-ভেতরে নিয়ে এসো !

-উনি আসবেন না । আপনেরে যাইতে বলছে !

মীরা একটু বিরক্ত হল । তবে সেটা প্রকাশ করলো না । চেয়ারম্যান লোকটার আচরন মাঝে মাঝে একটু বিরক্তি উৎপন্ন করলেও আসলে মানুষটা ভাল । বলতে গেলে এই একা মানুষটার জন্য পুরো এলাকাটা আরও একটু ভাবে বেঁচে আছে । সরকারি স্কুল সরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিস তিনি নিজের চেষ্টায় স্থাপন করেছেন । অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছে । সেই উপজেলা স্বাস্থ্য ক্লিনিকেই মীরা ডাক্তার হয়ে এসেছে । এখানে এসে প্রথমে যে বিপদে পড়েছিলো সেটারও সমাধান এই চেয়ারম্যানই করে দিয়েছে । সেই মানুষটার উপর মোটেই বিরক্ত হওয়া উচিৎ না !

মীরা হাতের হাতের রোগীটাটে বিদায় করে দিয়ে ক্লিনিক থেকে বাইরে বের হয়ে এল । বারান্দায় আসতেই দেখতে পেল চেয়ারম্যান সোলাইমান হোসেনকে দেখতে পেল । উচু লম্বা শক্ত শরীরের একজন মানুষ । বয়স আনুমানিক ষাটের কাছাকাছি । দেখলে আরও কম মনে হয় । মীরাকে বের হয়ে আসতে দেখেই সোলাইমান হোসেন মুখে বিস্তৃত হাসি নিয়ে এগিয়ে এল । বলল

-মা জননী ভাল আছো ?

-জি চাচা ভাল আছি ! আপনি ভাল আছে ?

-আমার আর ভাল থাকা ! নানান দিকে নানা ঝামেলা ! একটা সরকারী কলেজ জন্য খুব দৌড়াদৌড়ি করতেছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না । তবে আমিও সহজে হাল ছাড়ার পাত্র না । এই গ্রামে আমি কলেজ আইনাই ছাড়বো !

মীরা বলল

-আমি জানি চাচা ! আপনি সেটা করবেনই ! তা কোন দরকার ছিল ?

সোলাইমান হোসেন একটু হিহ্বায় কামড় দিল । তারপর বলল

-আমি ভুইলাই গেছি তুমি কাজের মানুষ ! হ্যা একটু দরকার ছিল ! তোমার দাদীজানের শরীরের খুব খারাপ । বুঝোই তো বয়স হইছে । এমন অবস্থা নাই যে এই খানে নিয়ে আসবো ! নয়তো আমি তারে এই খানেই নিয়ে আসতাম কিন্তু মা জননী মায়ে আমার একদম নড়াচড়া করতে পারে না । তুমি কি একটু দেইখা আসবা !

অতি-প্রাকৃত গল্পOpowieści tętniące życiem. Odkryj je teraz