-তোমার ভয় করছে না ?
নীলির কথা শুনে আমি খানিকটা হেসে দিলাম । বললাম
-আমাকে দেখে কি মনে হচ্ছে আমার ভয় করছে ?
নীলি কিছু না বলে কেবল আমার দিকে তাকিয়ে রইলো । জানালার ওপাশটা বেশ অন্ধকার । আমি নীলির চেহারা পরিস্কার বুঝতে পারছি না তবে কেন জানি মনে হল ও গভীর চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে । ওর চোখ একটা বিশ্ময় কাজ করছে ।
কে বলে যে কেবল মানুষেরাই বিশ্মিত হতে পারে ।। অশরীরীরাও যে বিশ্মিত হতে পারে তা নীলির চেহারা না দেখলে আমি ঠিক মত বুঝতে পারতাম না ।
নীলি জানালা ভেদ করে আমার ঘরে চলে এল । যেমন করে আমরা দরজার পর্দা সরিয়ে ঘরে ঢুকি ঠিক সেভাবে । ব্যাপার টা এমন যেন খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা । অন্য কেউ হলে এতোক্ষনে মনে হয় চিৎকার চেঁচামিচি করে কানের পর্দা ফাটিয়ে ফেলতো আমি নিজেকে সামলে নিলাম । তবে এই সামলে নেওয়াটা এমনি এমনি হয় নি ।
এখানে ভাড়ায় এসেছি খুব বেশি দিন হয় নাই । প্রথমেই যখন এখানে ভাড়ায় আসি ঘর ভাড়া শুনে একটু অবাকই হয়েছিলাম । তার উপর আমি ব্যাচেলর জেনেও আমাকে যখন ভাড়া দিতে রাজি হয়ে গেল তখন আসলেই একটু অবাক না হয়ে পারলাম না ।
এমন ফ্যামিলি বাসায় সহজে বাড়ির মালিকেরা ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দিতে চায় না । অন্য সব ফ্লোর গুলো ভাড়া দেওয়া কেবল এই ফ্লোরে কেউ নেই । তখন অবশ্য কোন প্রকার সন্দেহ হয় নাই ।
আমি নিশ্চিন্তে উঠে গেলাম । সব থেকে বড় সুবিধা হল আমার অফিস থেকে বাসা টা থেকে একদম কাছে । হেটে যাওয়ার দুরুত্বে । কদিন ভালই কাটছিল । কেবল সমস্যা ছিল যে রাত হলেই আমার ঘর টা একটু বেশি ঠান্ডা হয়ে যেত । ভালই হত যে প্রচন্ড গরম ছিল বাইরে কিন্তু আমি এসি চালু না করেও ঠান্ডার আরাম পেতাম ।
আরেক টা ব্যাপার যে বাড়ির মালিক প্রতিদিন সকালে এসে আমার খোজ খবর নিয়ে যেত । আমার কোন সমস্যা হচ্ছে কি না কিংবা আমি ভাল আছি কি না । কথা বলার সময় বাড়িওয়ালার চেহারায় একটা অন্য রকম দুষ্চিন্তার ছাপ দেখতে পেতাম । তবে আমি যখন বলতাম কোন সমস্যা নেই তখন ভদ্রলোকের চেহারা দেখে মনে হত যেন বুকের ওপর থেকে ১০ মণের একটা পাথর সরে গেল ।
YOU ARE READING
অতি-প্রাকৃত গল্প
Horrorমাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।