নতুন শিকার কে?

207 8 1
                                    

স্কুল ছুটির পরেও মিতুকে কিছু সময় স্কুলে থাকতে হয় । স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হওয়ার কারণে ওর অনেক দায়িত্ব রয়েছে । সেগুলো সব শেষ করে বাসায় যেতে যেতে আরও ঘন্টা খানেক দেরি হয় প্রতিদিন । আজকে ছুটির পরে স্কুল ফাঁকা হয়ে গেল । সামনের সপ্তাহ থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে । আজকের পরে আর ক্লাস হবে না । তাই আজকে একটু দেরি হয়ে গেল । মিতু যখন কাজ শেষ করলো তখন স্কুল একেবারে ফাঁকা হয়ে গেছে । পিয়ন এসে দাড়িয়ে রয়েছে ঘরে তালা লাগানোর জন্য । পিয়নের দিকে তাকিয়ে মিতু বলল, রশিদ, সবাই চলে গেছে?

-জে আফা ! কেবল জয় স্যার আছে ।

-সে কি করছে?

-কি জানি ! কি জানি করতেছে । আমি তালা খুইলা দিয়া আসছি । সে বাইর হওয়ার সময় তালা লাগাইয়া আসবে ।

মিতু বারান্দায় এসে দাড়ালো । আকাশের দিকে চোখ পড়তেই দেখলো কালো মেঘে ছেঁয়ে গেছে । ঠান্ডা বাতাস দিচ্ছে । মিতুর বুঝতে কষ্ট হল না যে বাসায় যাওয়ার আগেই বৃষ্টি শুরু হবে । আজকে সে সাথে করে কোন ছাতা নিয়ে আসে নি । বৃষ্টিতে ভিজতে হবে । ব্যাগে ছাতাটা নিতে গিয়েও নেয় নি আজকে । নিজের নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে নিজের উপরে খানিকটা বিরক্ত হল সে । এখন দ্রুত একটা রিক্সা পেতে হবে । তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে । কিন্তু এই সময়ে এখান থেকে রিক্সা খুব একটা পাওয়া যায় না । স্কুলটা শহরের এক দিকে । যে সব রিক্সা এখানে দাড়িয়ে থাকে তা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে চলে যায় । মিতু যখন যায় তখন আর কেউ এখানে থাকে না । মিতুকে তখন বেশ কিছু সময় হেটে তারপর রিক্সা নিতে হয় । এখন সেই পর্যন্ত যাওয়ার আগে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলে আর কিছু করার থাকবে না ।

-ম্যাম । এই ছাতাটা নিন ।

মিতু নিজের ভাবনাতে এতো মগ্ন ছিল যে অন্য দিকে কোন খেয়াল ছিল না । কখন যে পাশে একজন এসে দাড়িয়েছে সেটা খেয়াল করে নি । একটু চমলে উঠলো । তবে সেটা সামলে নিল । পাশে দাড়ালো জয় কবিরের দিকে তাকিয়ে দেখলো নীল রংয়ের ছাতাটা সে মিতুর দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে ।

মিতু বলল, আমাকে ছাতা দিলে আপনি কিভাবে যাবেন?

-আমার সমস্যা নেই । আমার বাসা কাছেই । এই যে স্কুলের ডান দিকে যে পথ গিয়েছে সেটা থেকে সামনে গেলে । আপনি অনেক দুরে যাবেন ।

অতি-প্রাকৃত গল্পHikayelerin yaşadığı yer. Şimdi keşfedin