অভিশপ্ত (রাফায়েল সিরিজ ০৯)

1.2K 43 24
                                    

শুরুর আগে

সিলিং থেকে একটা ফাঁসের দড়ি ঝুলছে । ঠিক তার নিচে একটা টুল পেতে রাখা হয়েছে । টুলকে ঘিরে জলন্ত মোমবাতির একটা বৃত্ত । মোমবাতি গুলো জ্বলছে বেশ অনেক সময় ধরে । গলন্ত মোম এদিক ওদিক গড়িয়ে পড়ছে । সেই মোমবাতির বৃত্তের ভেতরে অজানা ভাষায় কত কিছু লেখা রয়েছে । ঠিক টুলটার উপর মানুষটা বসে আছে । তার বয়স খুব বেশি হবে না । সবে মাত্র ২৫ পার হয়েছে । ঘন চুলের ছেলেটা এক ভাবে কিছু পড়েই চলেছে । তার চোখ দিয়ে বিন্দু বিন্দু অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে ক্ষণে ক্ষণে !

ছেলেটার মন্ত্র পড়া শেষ হল একটা সময় । ছেলেটা ধীরে ধীরে উঠে দাড়ালো টুলের উপর । ছেলেটা মৃদ্যু কাঁপছে । বুকের ভেতরে একটা ভয় কাজ করছে । কয়েকবার মনে হল কাজটা থেকে সে সরে আসুক । কিন্তু সেটা করলো না । এখন তার কাছে মরে যাওয়াটাই সব থেকে সহজ মনে হচ্ছে । কিছুতেই আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করছে না । আরেকটা দিন বেঁচে থাকা মানেই মনের ভেতরে সেই তীব্র কষ্টটা ভোগ করে চলা । ছেলেটা সেই কষ্ট ভোগ করতে আর প্রস্তুত নয় । তবে বেঁচে থাকতে সে যেটা করতে পারে নি মরে গিয়ে সেটা ঠিকই করবে । সেই জন্যই এতো প্রস্তুতি সে নিয়েছে ।

ছেলেটা ফাঁসের দড়িটা নিজের গলার ভেতরে পরে নিল । তারপর আরেকবার তাকালো সামনে ঝুলানো ছবিটার দিকে । মনে মনে বলল আমি যদি তোমাকে না পাই তাহলে আর কেউ পাবে না । কেউ না ।


এক

শাহেদ এতো জোড়ে ব্রেক করলো যে সিট বেল্ট বাঁধা থাকা স্বত্ত্বেও ওর মাথাটা স্টিয়ারিংয়ের সাথে ঠুকে গেল । তবে ঠিক সময় নিজেকে সামলে নেওয়ার কারনে খুব বেশি ব্যাথা লাগে নি । পাশে বসা বোন আর পেছনে বাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে নিল একবার । দেখে নিল তারা ঠিক আছে কি না ! শাহেদের বোন অরিন বলল

-কি হল তোর ? এভাবে কেউ ব্রেক চাপে ?

-ঠিক আছিস তুই ? মা বাবা তোমরা ?

ওনারা ঠিক আছে । একটু চমকে গিয়েছিলো তবে কোথাও ব্যাথা লাগে নি । অরিন আবার বলল

-এভাবে কেউ গাড়ি চালায় ? এভাবে ব্রেক চাপলি কেন ?

-আরে আমি কি আর এমনি এমনি ব্রেক করেছি নাকি ?

অতি-প্রাকৃত গল্পWhere stories live. Discover now