রাগ প্রশমন

305 16 1
                                    

আমির সাহেবের দিকে তাকিয়ে রাকিব বলল, স্যার কিছু একটা করেন প্লিজ !
আমির সাহেব চোখ কপালে তুলে বললেন, আমি কী করবো শুনি?
-স্যার নতুন বিয়ে করেছি । এখন যদি চাকরি চলে যায় তাহলে উপায় আছে ?
-তোমার নতুন বিয়ে ! এখন যদি আমার চাকরি চলে যায় তাহলে আমি নতুন কোথাও চাকরি পাবো ? আমার কী অবস্থা হবে ভেবে দেখেছো ?
-বড় স্যারকে একবার ফোন দিবো?
-কোন লাভ আছে ? তুমি জানো না যে এখন অফিসের সব কিছু তৃষা ম্যামের হাতে । বড় স্যারের কোন হাত নেই । সে কিছুই করতে পারবে না ।

দুজনেই বিমর্ষ হয়ে বসে রয়েছে অফিসের ক্যান্টিনে । অফিস রুমে ঢুকতে সাহস পাচ্ছে না । একটু আগেই তারা খবর পেয়েছে এমডি ম্যাম অফিসে এসেছে । তার মুখ গম্ভীর হয়ে আছে । তারা দুজনেই জানে যে একটু পরে তাদের খোজ করা হবে এবং তাদেরকে টারমিনেট করা হবে । তৃষা ম্যাম তাদের উপর খুব রেগে আছে । রেগে থাকারই কথা । কেবল মাত্র তাদের দুজনের ভুলের কারণে রকলেট ইন্টারন্যাশনালের সাথে ডিলটা হয় নি । প্রায় এগারো কোটি টাকার একটা কাজ হাত ছাড়া হয়ে গেছে । এই অবস্থায় যে কারো মন মেজাজ খারাপ থাকবে সেটা স্বাভাবিক ।
কিন্তু তারা দুজনের কেউ ইচ্ছে করে ভুলটা করেন নি । ঠিক সময় মত বুঝে উঠতে পারেন নি । তৃষা ম্যাম তাদের দুজনকে স্পষ্ট করেই বলেছি যেন বর্তমান বাজেটের দিকটা যেন ভাল করে খেয়াল করে তারপরই ডিলটার প্রোপোজাল পাঠায় । কিন্তু সেটা তাদের দুজনের কারই এই ব্যাপারটা মাথায় ছিল না । ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে ।

দুজনেই ক্যান্টিনে বসে রইলো আরও আধা ঘন্টা । কিন্তু এভাবে আর কত সময় বসে থাকবে তারা ? আজকে যদি অফিসে না যায়ও কাল তো ঠিকই আসতে হবে। তখন কী হবে ?

এমন সময়ে এমডি ম্যামের পিএ কে দেখা গেল ক্যান্টিনে আসতে । ওদের সামনে দিয়ে কাউন্টারে গেল । দুতো কোল্ড ড্রিংস কিনলো । তারপর ওদের টেবিলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে একটা কার্ড টেবিলের উপরে রাখলো । ওদের দিকে না তাকিয়ে মৃদু স্বরে বলল, চাকরি বাঁচাতে চাইলে এই নম্বরে ফোন করে এই ছেলে কে অফিসে আসতে বলেন । ম্যামের রাগ যদি কেউ ঠান্ডা করতে পারে তাহলে কেবল এই ছেলে পারবে !

তৃষার গল্প - সিজন টুWhere stories live. Discover now