তৃষার ভালবাসা

1.6K 47 3
                                    

-বাহ! খুব চমৎকার। খুব ভাল করেছো! খাও আরো বেশি করে খাও।

আমি তৃষার দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারছিলাম যে ও রেগে গেছে। এতোটা সময় ও খুব হাসি ছিল। আমি যেই না ওকে কথাটা বললাম আর অমনি ওর মুখ অন্ধকার হয়ে গেল। সেখানে দেখা গেল কাল বৈশাখী মেঘ।
আমি অসহায়ের মত এদিক ওদিক তাকাতে লাগলাম। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না।

এই জন্যই প্রেমিকাদের কাছে সব সময় সত্য কথা বলতে নেই। এবং অবশ্যই সব কথা তাদের সব কথা বলতে নেই। আমিও চাইলে এই কথাটা তৃষাকে না বললেও পারতাম। তাহলে তৃষা হয়তো কোন দিন জানতেও পারতো পারতো না। কিন্তু আমি যদি কথাটা ওকে না বলি, তাহলে আমি আমার নিজের কাছেই ছোট হয়ে যাবো। তাই সত্যটা ওকে বলে দিলাম। যদিও জানি এর পরে আমার উপর কাল বৈশাখী ঝড় বয়ে যাবে। তবুও সত্যটা আমাকে বলতেই হল।

তৃষাকে আমি আজও ঠিক মত বুঝতে পারিনি। আমাকে বারবার বলে যে সে আমাকে মোটেই ভালবাসে না। কিন্তু যদি আমি তার একটা কথা না শুনি তাহলে আমার খবর খারাপ করে দেয়।

আমি বাইরের খাবার বেশ পছন্দ করি। ভাজা পোড়া, ঝালমুড়ি, ফুচকা আর যত রকম জিনিস আছে, সবই আমার পছন্দ। কিন্তু তৃষার এসব মোটেই পছন্দ না। ওর এক কথা, আমি এসব আর খেতে পারবো না। এসব শরীরের জন্য মোটেই ভাল না।

আমাকে এখন থেকে নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমার এতো পছন্দের বিরয়ানী খাওয়ার ব্যাপারেও বিধি নিষেধ জারি করেছে। আগে যেখানে মাসের ভেতরে বিশ দিন বিরয়ানী খেতাম এখন সেখানে আসে দুই দিন বিরিয়ানি খাওয়ার অনুমুতি দিয়েছে। আমি কিছু বলতেও পারি না। ভালবাসি তো, ওর কথা কিভাবে ফেলি! আর সেই সাথে তৃষার কথা তো ঠিকই আছে। আমার পছন্দ সেই খাবার গুলো যেগুলো শরীরের জন্য মোটেই ভাল না। সে তো আমার ভালই চাচ্ছে।

আমিও আস্তে আস্তে সব খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। মাসের দুই দিনের বেশি বিরয়ানী খাই না। বাইরের খাবার ছুয়েও দেখি না । সব কিছু ভালই চলছিলো। তবে ঝামেলা বাধলো গতকালকে। বন্ধুদের সাথে গিয়েছিলাম বই মেলাতে। অনেক ঘুরলাম। তাই ক্লান্ত হয়ে মেলাতে বসা একটা খাবার স্টলে বসে পড়লাম। সবাই ঠিক হল ফুসকা খাওয়া হবে। অর্ডার দেওয়া হল। আমি যতই না না করতে চাইলাম তবে কাজ হল না। আমাকে খেতেই হল।

তৃষার গল্প - সিজন টুWhere stories live. Discover now