বাবুমিয়ার সরাইখানা

243 11 0
                                    

তৃষার সাথে শেষ কবে আমি বেড়াতে গিয়েছিলাম সেটা আমার মনে নেই । আমাদের বিয়ের সময় হানিমুনে গিয়েছিলাম দিন কয়েকের জন্য । তবে সেটা মাঝ পথেই ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে ওর কাজের জন্য । অন্য দিকে হানিমুনে থাকলেও দিনের বেশ কিছু সময় সে ফোনে ব্যস্ত থাকতো তার অফিসের কাজে । কাজ ছাড়া মেয়েটা যেন কিছুই বোঝে না । সেই মেয়েই যখন আমাকে বলল চল কোথাও থেকে ঘুরে আসি তখন মনে হল তৃষার শরীর ভাল আছে তো ! আমি দ্রুত ওর কপাল পরীক্ষা করে দেখলাম তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা ।

তৃষা খানিকটা বিরক্ত হয়ে বলল, ঢং কর না তো । যাবা কি যাবা না বল । নয়তো আমি একাই যাই ।

আমি দ্রুত বললাম, আরে আরে অবশ্যই যাবো ।

ঠিক হল কক্সবাজারেই যাবো । আমি দ্রুত প্লেনের টিকিট কাটতে যাবো তখন তৃষা আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল, প্লেনে না, গাড়ি নিয়ে যাবো!

-মানে কি? এতো পথ গাড়ি চালিয়ে যাবা?

-তুমি সাথে আছো না?

-হঠাৎ এতো রোমান্টিক হচ্ছো? কাহিনী কী শুনি?

-কোন কাহিনী নেই । কেবল মনে হল বিয়ের পরে তোমাকে একদম সময় দেওয়া হয় না । এতো কাজ কর্ম করে কী হবে যদি ভালোবাসার মানুষটাকে সুখী না করা গেল । চল চল আর দেরি করে লাভ নেই ।

প্লান খুব সিম্পল । আমরা গাড়িতে করে বের হব । কক্সবাজার পৌছাবো তারপর সেখানে দু একদিন থেকে আবার গাড়িতে ফেরৎ আসবো । পথে থেমে খাওয়া হবে যেখানে পছন্দ হয় । যদিও তৃৃষা বাইরের খাবার একদম পছন্দ করে না তবে মাঝে মাঝে ব্যতিক্রম করাই যায় !

রাতের বের হয়ে গেলাম । কুমিল্লা পার হতে হতে রাত একটা বেজে গেল । এরপরই রাস্তা ঘাত একটু নির্জন হল । যেহেতু বৃহস্পতিবার না তাই গাড়ির ভীড় একটু কম । আমাদের গাড়ি দ্রুত এগিয়ে যেতে শুরু করলো । গাড়িতে মৃদ্যু স্বরে গান বাজছে আমরা একে অন্যের সাথে কথা বলছি । কতদিন পরে এমন একটা সময় এল আমি নিজেও জানি না । দুজনেই কাজে কর্ম ব্যস্ত । আমার থেকে তৃষা যেন একটু বেশি ব্যস্ত । এমন সময় পেয়ে আমার খুবই ভাল লাগছিলো ।

তৃষার গল্প - সিজন টুDonde viven las historias. Descúbrelo ahora