(গল্পটির মুল ঠিক আমার নয় । সায়ক আমানের লেখা একটি গল্প অবলম্বনে এই গল্পটি লেখা হয়েছে)
দরজাতে টোকার শব্দ শুনে আমার চোখ আপনা আপনি ঘড়ির দিকে চলে গেল । তাকিয়ে দেখি রাত এগারোটা পার হয়ে গেছে কিছু সময় আগেই । রাত এগারোটা ঢাকার মানুষ গুলোর জন্য কোন রাত না হতে পারে, কিন্তু এই গ্রামে রাত এগারোটা মানে হচ্ছে গভীর রাত । সারাদিন আমাদের এই বাসাতে মানুষের বেশ ভীড় থাকলেও সন্ধ্যা হতে না হতেই সেই ভীড় একেবারে ফাঁকা হয়ে যায় । এই এলাকার মানুষ রাতের বেলায় বাড়ির বাইরে থাকতে পছন্দ করে না ।
এত রাতে এখানে কে এল ?
আব্দুলের কি কোন দরকার হল ?
আব্দুল হচ্ছে আমাদের কেয়ারটেকার । সন্ধ্যা হতেই সে বাড়ির গেট বন্ধ করে দিয়ে নাক ডাকতে থাকে । আমাদের রাতের খাবার, পানি সব সন্ধ্যা হতে না হতেই ডাইনিং টেবিলে সাজিয়ে রেখে চলে যায় । আব্দুল একদমই রাত জাগতে পারে না । সন্ধ্যা হতেই বউ মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ।
এতো রাত পর্যন্ত আব্দুলের জেগে থাকার কথা না । আর সে ডাকলেও এতো মৃদু স্বরে ডাকবে না । বাড়ি মাথায় তুলে ডাকাডাকি করতে থাকবে । আমি আরেকবার ঘড়িটার দিকে তাকালাম । তারপর হাতের বইটা পাশে রেখে আমি উঠে গেলাম দরজার কাছে ।
দরজাটা খোলার আগে আরেকবার মনে হল চোর ডাকাত আসবে না তো ! কিন্তু সাথে সাথেই চিন্তাটা বাদ দিয়ে দিলাম । এই এলাকাতে তৃষাদের এই বাসাতে চোর কিংবা ডাকাত এসে হাজির হবে এমনটা বিশ্বাস করা যায় না । সৈয়দ বাড়িতে আর যাই হোক কোন দিন চোর ডাকাতের উৎপাত হয় নি । এতো বড় সাহস এখনও কারো হয়ে ওঠে নি ।
আমি গিয়ে দরজা খুলে দিলাম । এবং সাথে সাথেই ঘরের আলো চলে গেল । বুঝতে কষ্ট হল না যে বিদ্যুৎ চলে গেছে । প্রত্যন্ত এই একালাতে প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যায় । গ্রামের বেশির ভাগ বাড়িতে এখনও বিদ্যুতের সংযোগ নেই । অল্প কয়েক বাড়িতে কেবল আছে । তাও সব সময় থাকে না ।
আমি বাইরে তাকানোর চেষ্টা করলাম । অন্ধকারের মধ্যে কাউকে দেখতে পেলাম না প্রথমে । তারপর আরেকটু ভাল করে তাকাতেই দেখতে পেলাম যে দরজার ডান দিকে একটা অবয়ব দেখা যাচ্ছে । একটা মেয়ে !
YOU ARE READING
তৃষার গল্প - সিজন টু
Short Storyতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...