বিজয় সরনীর কাছে আসতেই হাতের কব্জির কাছে আবারও কাঁপতে লাগলো । ফোন এসেছে । মোবাইল ফোনের সাথে যুক্ত হাতের ঘড়িটা সেইটাই জানান দিচ্ছে ।
বাইরে চলার সময় পকেটে থাকা মোবাইল রিং হলেও টের পাওয়া যায় না । তাই স্মার্ট ওয়াচের সাথে সেটা সব সময় যুক্ত করে রাখি যখন বাইরে বের হই । আজকে এই নিয়ে ছয়বার তৃষার ফোন বেজে উঠলো ।
আমি ফোন রিসিভ করতেই তৃষার রাগান্বিত কন্ঠস্বর শুনতে পেলাম !
-আর কত দুর ? আজ যদি প্রথম ইফতার একা একা করতে হয় না, তোমার খবর আছে কিন্তু !
-আরে বাবা আমার দোষ কোথায় ?
-না তোমার দোষ না, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দোষ ! আমি কত করে বললাম আজকে যাওয়ার দরকার নেই কিন্তু না ! উনি হয়েছে আদর্শ শিক্ষক ! একদিন না পড়ালে মহা ভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে !
-আরে বাবা আমার দোষ না । আমি সময় মতই সেখান থেকেই বের হয়েছি । তুমি যেখানে থাকো !
-এই এই খবরদার ! মিরপুর নিয়ে একটা বাজে কথা বলবা না বললাম !
-না বাজে কথা কই বললাম ! আসলে বলতে চাচ্ছিলাম যে ঢাকার আসল প্রাণ কেন্দ্র তো মিরপুর ! আমরা বাইরে থেকে আসতে গিয়ে ঝামেলা হয় !
তৃষা কিছু সময় চুপ করে রইলো । ফোনে কথা বলছে বলে হয়তো এই জন্য ঠিক ধরতে পারলো না যে আমি আসলেই এটা বলছি নাকি টিটকারি মারছি । তৃৃষা বলল
-কি বললা আবার বল?
-আরে বাবা এখন রাস্তায় রয়েছি । তোমার সাথে কথা বলার জন্য থামতে হয়েছে । তুমি চাও যে দেরি হয়ে যাক !
ফোনের ওপাশ থেকে কিছু সময় চুপ করে থেকে তৃষা বলল
-আচ্ছা জলদি আসো । সাবধানে আসবা ।
আমি আচ্ছা বলে ফোন কেটে দিলাম । এখন বেশি কথা না বলে সোজা ওর বাসায় পৌছানোই হচ্ছে মূল কথা । রাস্তার অবস্থা দেখে একবার মনে হয়েছিলো হয়তো ঠিক সময় মত পৌছাতে পারবো না । তবে ইফতারির আধা ঘন্টা আগেই পৌছে গেলাম ।
ঘরে ঢুকতেই দেখি ও আমার দিকে কঠিন চোখে তাকিয়ে আছে । তবে আমি জানি মনে মনে আমাকে দেখে আনন্দিত । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
YOU ARE READING
তৃষার গল্প - সিজন টু
Short Storyতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...