-ম্যাডাম আপনার জন্য ?
ওয়েটার তৃষার দিকে তাকিয়ে রইলো অর্ডারের অপেক্ষাতে । আমি আমার পছন্দের জিনিস অর্ডার দিয়ে দিয়েছি । তাইশাও তাই করে ফেলেছে । এবং কেবল বাকি আছে তৃষার । কিন্তু ওয়েটারের তো জানা নাই যে মহারানী বাইরের কোন জিনিস ছুয়েও দেখে না । কেবল বাইরের কোন জিনিস কেন, অন্যের হাতের রান্না করা কোন কিছুও সে খায় না । উপরওয়ালাকে ধন্যবাদ যে আমাদের মেয়ে তাইশা এমন হয় নি । অবশ্য তৃষা যে চেষ্টা করে নি সেটা বলবো না কিন্তু আমার মেয়ে বলে কথা !
আমি ওয়েটারকে বললাম
-উনি বাইরের কিছু খান না । আপনারা এক কাজ করুন এক বোতল মিনারেল ওয়াটার নিয়ে আসুন বরং ।
আমার কথা যেন ওয়েটারের ঠিক বিশ্বাস হল না । সে খানিকটা বিস্ময় নিয়েই আমাদের দিকে তাকিয়ে রইলো । তৃষা খানিকটা বিরক্ত মুখে বলল
-খুব মজা লাগছে ?
-আরে না না মজা কেন লাগবে ? তোমার জন্য কি অর্ডার দিবো বল ? কোন সালাদ দেই ? এটাও আর রান্না করা না !
-চুপ !
আমাকে চুপ করিয়ে দিয়ে ওয়েটারের দিকে তাকালো । তারপর বলল
-আমার জন্য কেবল একটা মিনারেল ওয়াটার নিয়ে আসুন ।
ওয়েটার খানিকটা বিস্ময় নিয়েই চলে গেল । আমি তৃষার দিকে তাকিয়ে বললাম
-তুমি না আসলেও পারতে !
-কেন ?
-না মানে আমি আর তাইশা খাবো আর তুমি চেয়ে চেয়ে দেখবে ব্যাপারটা মোটেই ভাল লাগবে বল আমাদের ?
তৃষা আমার দিকে সরু চোখে তাকিয়ে বলল
-বেশি ঢং করবা না বলে দিচ্ছি । মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঢং করার পরিমান কমে আর তোমার দিন দিন বাড়ছেই !
আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম । তাইশার দিকে তাকিয়ে বলল
-মামনি তুমি বলতো আমি ঢং করি ?
তাইশা দুইদিকে মাথা ঝাকিয়ে বলল
-আমার পাপা সব থেকে ভাল ভাল । সে মোটেই ঢং করে না ।
YOU ARE READING
তৃষার গল্প - সিজন টু
Short Storyতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...