প্রতিদিন আমি যখন বাসায় ফিরি তখন আমাকে চাবি দিয়েই দরজা খুলতে হয় । কারন তৃষার বাসায় আসতে আসতে আমার থেকেও বেশ খানিকটা দেরি হয় । ওর অফিসে সেই আশুলিয়ার দিকে । আমার কাজ থাকে মগবাজার । কতবার বলেছি ওকে বাসা আরেকটু সরিয়ে নিয়ে যাই । এমন জায়গাতে নিয়ে যাই যেন ওর আসা যাওয়ার সুবিধা হয় কিন্তু কে শোনে কার কথা !
আমি কাজ শেষ করে একটু আগে আগে আসতে পারলেও ওর কোন দিনই দশটার আগে বাসায় আসতে পারে না । কিন্তু আজকে চাবি ঢুকিয়ে দরজা খুলতে গিয়েই টের পেলাম দরজা ভেতর থেকে বন্ধ । এর মাঝে হচ্ছে তৃষা আগেই চলে এসেছে বাসায় । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি এখনও নয়টাও ঠিক মত বাজে নি । একটু অবাক হলাম । সেই সাথে একটু ভয়ও জাগলো মনে । ওর কিছু সমস্যা হল না তো আবার ।
আমি দ্রুত কলিংবেল চাপলাম । একটু পরেই দরজা খুলে গল । তাকিয়ে দেখি তৃষা আমারই একটা টিশার্ট গায়ে দিয়েছে । এইকাজটা ও প্রায়ই করে । আমার টিশার্ট ও প্রায় সব সময়ই পরে । নিচে আর সাদা রংয়ের একটা লেগিংস পরা । ওর হাতের বড় কিচেন চামছ দেখেই বুঝতে পারলাম ও রান্না করছে ।
আমি খানিকটা অবাক হয়ে বলল
-তুমি কখন এলে ?
-এসেছি অনেক আগেই । আমার দিকে তাকিয়ে বলল ক্ষুধা পায় নি তোমার ?
তৃষা খুব একটা রান্না করে না । ও খুব একটা খাওয়া দাওয়াও করে না । এক বেলা কোন মতে খাওয়াতে পারি ওকে জোর । বেশির ভাগ সময়ে ফল জুস খেয়ে কাটায় । ও হঠাৎ আজকে খাওয়ার কথা বলছে । ও নিশ্চয়ই রান্না ঘরে রান্না করছিলো । তার মানে কি আজকে কোন স্পেশাল দিন ?
আমি ভুলে গেছি ?
খাইছে আমারে ! আজকে আমার তাহলে খবরই আছে !
আমি চট করে মনে করার চেষ্টা করলাম । একবার মনে করলে অবশ্য বিপদ কারানো যাবো । কারন আমার স্টকে সব সময় গিফট হিসাবে চকলেট মজুত থাকে । তাই বিশেষ দিনটা কি সেটা মনে করতে পারলেই আমি বেঁচে যাবো !
আজকে কি ওর বার্ড ডে ?
নাহ । ওটা তো জানুয়ারিতে ।
আজকে আমাদের ম্যারেজ ডে ?
না তাও না !
আজকে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল কিংবা কথা ?
YOU ARE READING
তৃষার গল্প - সিজন টু
Short Storyতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...