নতুন জায়গাতে ঘুম আসতে আমার একটু দেরি হয় সব সময় । আর সেই সাথে শরীর যদি খারাপ থাকে তাহলে রাত পার হয়ে যায় তবুও ঘুম আসে না । তবে তৃষার এখানে এসে তেমনটা মোটেই হল না । রাতে শোয়ার সাথে সাথেই বলতে গেল ঘুম চলে এল ।
সকাল ঘুম ভাঙ্গলো সময়ের একটু আগেই । চোখ মেললেই প্রথমে কিছু সময় বুঝতে পারলাম না আমি কোথায় আছি । তারপর মনে পড়লো সব !
গত পরশুদিন আমার কোভিট নাইনটিন পজেটিভ এসেছে । প্রথমে ভাবলাম এই ব্যাপারটা কাউকে জানাবো না । বাসায় বললেই কেবল চিন্তা করবে । ঝামেলা বাড়বে ! আমি এমনিতেও সারাদীন বাসার ভেতরেই থাকি । সেল্প আইসোলেশনে থাকাটা সমস্যা হবে না খুব একটা । নিচে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতাম সেটা করা বাদ দিতে হবে । ফুড পান্ডায় অর্ডার দিতে হবে । ব্যাস তাহলেই ঝামেলা শেষ !
কিন্তু তৃষার কাছ থেকে ব্যাপারটা কোন ভাবেই আড়াল করা গেল না । সমস্যা হচ্ছে তৃষার কাছ থেকে আমি কোন কিছু আড়াল করতে পারি না । ওকে মিথ্যা বলতেও পারি নি । ও কিছু সরাসরি জিজ্ঞেস করলে সেটা বলে দিতেই হয় । দুদিন থেকে ঠান্ডা আর কাশি ছিল । সেটা ও জানতো । টেস্ট করাতেও ও নিজেই বলেছিলো । তাই যখন ও জানতে চাইলো রিপোর্টে কি এসেছে তখন না বলে উপায় থাকলো না আমার ।
আমার যখন রিপোর্ট পজেটিভ আসলো তখন তৃষা একদম চুপ হয়ে গেল । আমি ভেবেছিলো হয়তো খুব বকাঝকা করবে কিছু সময় । তবে খানিকটা অবাক হয়ে দেখলাম যে একদমই কিছু বলল না । কেবল টেক কেয়ার বলে রেখে দিল । এই ব্যাপারটা সাধারনত তৃষার সাথে যায় না । তবে ঘন্টা খানেক পরে দেখলাম আমাক কম করেই গোটা পঞ্চাশেক হোয়াটসএপ মেসেজ পাঠালো । আমাকে কি করতে হবে এই সব । কয়েকবার ফোন দিলাম বটে তবে সে ফোন ধরলো না । কেবল মেসেজ পাঠালো । বলল যে সে এখন বিজি । কথা বলতে পারবে না । অথচ মেসেজ পাঠানোর থেকে কথা বললেই কম সময় লাগে ।
আমি ওর পাঠানো মেসেজ গুলো মন দিয়ে পড়লাম । তারপর একটা খাতা বের করে সেগুলো টুকে নিলাম । এগুলো আগামী সাত থেকে দশ দিন আমাকে নিয়ম করে শুনতে হবে । নয়তো আমার খবর আছে !
ESTÁS LEYENDO
তৃষার গল্প - সিজন টু
Historia Cortaতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...