দরজার কিহোলে চাবি ঢোকাতে গিয়েই টের পেলাম যে দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ । তার মানে হচ্ছে তৃষার ঘরের ভেতরে রয়েছে । ঘড়িতে আরেকবার সময় দেখলাম । বিকেল শেষ হে সন্ধ্যা হচ্ছে কেবল । এই সময়ে তৃষার বাসায় ফেরৎ আসার কথা না । তাহলে ও এখন বাসায় কেন ?
একটু চিন্তিত হতে হল । আজকে সারা দিনে ওর সাথে আমার কথা হয় নি । ও যখন অফিসে থাকে তখন ফোন দেওয়াটা ও পছন্দ করে না । দুপুরের লাঞ্চের সময় ও নিজেই আমাকে ফোন দেয় । তবে আজকে সেটাও দেয় নি । কয়েকটা মেসেজ আদান প্রদান হয়েছে অবশ্য । কাল রাতেই ও আমাকে বলেছিলো যে আজকে নাকি ক্লায়েন্টের সাথে মিটিং আছে । একটু ব্যস্ত থাকবে । আমি আর ওকে বিরক্ত করি নি । কি্তু প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে ও এখন বাসায় কেন ?
ওর আর আমার অফিসের সময়টা মোটামুটি একই হলেও আমাদের ফেরার সময়টা এক না । আমার অফিস থেকে বাসায় আসতে খুব বেশি হলে ঘন্টা খানেক লাগে যেখানে ওর ফিরতে ফিরতে প্রতিদিনই বেশ দেরি হয় । কতবার বলেছি যে এই বাসাটা বদলে ওর অফিসের কাছে নিয়ে যায় অথবা দুজনের অফিসের মাঝমাঝি কোন স্থানে নিয়ে যাই কিন্তু ও আমার কথা শোনে নি । ওর একটাই কথা যে এই বাসাটা ওর খুবই পছন্দের । অন্য কোন বাসা ওর পচন্দ হচ্ছে না তাই সে এখানেই থাকবে । অন্য কোথাও যাবে না ।
আমি আর কোন কথা বলি নি । একবার তৃষা যা ঠিক করবে সেটা থেকে ওকে কোন ভাবেই সরানো যাবে না । সরানো সম্ভব না । যদি তৃষার ইচ্ছে হয় তাহলে ও নিজেই নতুন বাসা খুজে বের করবে । কিন্তু সমস্যাটা রয়েই গেল । তৃষা এই সময়ে বাসায় কেন ? ওর কি শরীর খারাপ হয়েছে ?
আমি চিন্তিত মুখেই কলিংবেলে চাপ দিলাম ।
কিছু সময় পরেই ও দরজা খুলে দিল । ওর দিকে তাকিয়ে মনে হল একটু আগেই ও গোসল করেছে । চেহারাতে একটা স্নিগ্ধ ভাব রয়েছে । অবশ্য ওর চেহারাতে সব সময়ই একটা মায়া মায়া ভাব থাকে । আমি এখনও ওর চোখের দিকে বেশি সময় তাকিয়ে কথা বলতে পারি না । কেমন একটা ঘোরের ভেতরে চলে যাই ।
আমি ঘরে ঢুকতেই আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসলো । তারপর বলল
YOU ARE READING
তৃষার গল্প - সিজন টু
Short Storyতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...