সাইকেল চালানোর সময় আমি হাই গিয়ার সব সাতে দিয়ে চালাই । একটু যদিও পরিশ্রম বেশি হয় তবে সাইকেল দ্রুত চলে । কিন্তু আজকে পরিশ্রম করতে ইচ্ছে করছে না । বাসায় পৌছানোর কোন তাড়া নেই । তার উপর পুরো শরীরে আমার ক্লান্তি লেগে আছে । শক্তিও নেই খুব একটা । এক টানা ৩২ ঘন্টা না খাওয়ার ফল ।
আমার মনে আছে এর আগে আমি এতো লম্বা সময় কোন দিন না খেয়ে থাকি নি । যখন ক্লাস সেভেনে পড়তাম তখন একবার এরকম লম্বা সময় না খেয়ে ছিলাম । বাবার কাছ থেকে কি যেন একটা চেয়েছিলাম সে দিতে রাজি হচ্ছিলো না । আর আজকে আবারও ।
প্রাচীন কাল থেকেই না খেয়ে থেকে কিছু আদাই করে নেওয়ার প্রথা চলে আসছে । আমি যদিও এই প্রথার বিরোধী ছিলাম কিন্তু আজকে মনে হচ্ছে এটা ছাড়া কোন উপায় নেই । তৃষার কাছে কতদিন ধরে আমি কেবল অনুরোধ করে আসছি । মাত্র একটা বার দেখা করার জন্য । কিন্তু প্রতিবারই সে কথা দিয়ে কথা না রেখে এসেছে । প্রতিবারই আমাকে হতাশ করে এসেছে ।
আর আমার অবস্থাটা এমন হয়েছে যে আমি চাইলেও তৃষার উপর রাগ করে থাকতে পারি না । ওকে ছেড়ে যাওয়ার কথাটা আমার মাথাতে কোন দিন আসেই না । আর এই তথ্যটা সে জানে খুব ভাল করে । আর যখন আপনার প্রেমিকা আপনার এই মনভাবের কথা জানতে পারে তখন পারতপক্ষে আপনি তার সামনে কিছুই করার ক্ষমতা রাখেন না । সে যেভাবে চাইবে আপনাকে সেই ভাবেই চলতে হবে ।
সেই কাজটা করতে অবশ্য আমার কোন সমস্যা ছিল না । কিন্তু আমারও যে কিছু চাওয়ার থাকতে পারে সেটা তো মনে রাখা দরকার ।
সারা জীবনে আমার কোন ইচ্ছেই ঠিক মত পূরন হয় নি । কিন্তু যখন এই সামান্য জিনিসটাও যখন আমি পাই না তখন আমার তীব্র কষ্ট হয় । আমার অবস্থা আবার কত করুণ যে কারো উপর রাগও করতে পারি না ।
তাই গতকালকেই ঠিক করেছি যে রাগ করবো কেবল নিজের উপর । নিজেকে কষ্ট দেওয়ার মাঝেই সব কিছু সীমিত রাখবো । তাই কাল যখন ও কথা দিয়েও দেখা করলো না তখন নিজের উপর রাগ হল খুব । বারবার মনে হল কেন আমি বারবার আশা করি আর কেন বারবার আমার আশা ভঙ্গ হয় । আমারই আসলে শাস্তি প্রাপ্ত ।
YOU ARE READING
তৃষার গল্প - সিজন টু
Short Storyতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...