নিমুর সাথে দেখা

639 24 1
                                    

হাসপাতাল ব্যাপারটা আমার কোনদিনই ঠিক পছন্দ ছিল না কিন্তু ডাক্তার কন্যা বেশ পছন্দ ছিল সব সময় । আমার প্রেমিকা একজন ডাক্তার হবে এটা ভাবতেই মুখে একটা আনন্দের হাসি চলে আসতো । তবে আমি জানতাম যে আমার দ্বারা কোন ডাক্তা মেয়ে পটবে না কোন দিন । সেই হিসাবে খুব বেশি দরকার না হলে আমাকে হাসপাতালে যেতে হবে না । এটা একটা স্বস্তির ব্যাপার ছিল ।

কিন্তু কপালে থাকে সেটা কোন ভাবেই এড়ানো যায় না । আমার প্রেমিকা না একেবারে ডাক্তারের সাথে বিয়ে হয়ে গেল । কিভাবে সেই বিয়ে হল সেই গল্পে না যাই, সেটা শেষ করতে গিয়ে রাত পার হয়ে যাবে । আজকের ব্যাপারটা অন্য কিছু নিয়ে

যাই হোক তৃষার তখনও ঠিক ডাক্তারী পড়া শেষ হয় নি । মাঝে ওর পা ভাঙ্গার কারনে ও একটা বছর গ্যাপ দিয়েছিলো । এখন ওর ইন্টার্নশীপ চলছে ডিএমসিতে । মাঝে মাঝেই ওর নাইট ডিউটি পড়ে । তখন আমার ডাক পড়ে । যদিও খানিকটা নিয়ম নীতি বহির্ভূত তবুও খুব একটা সমস্যা হয় না । এই সময় গুলোর বেশির ভাগই আমরা তৃষার অফিস রুমে কাটাই । মাঝে মাঝেই ওর রাতে রাউন্ড দিতে যায় । কোন কোন সময় আমি ওর সাথে সাথে যাই, মানুষজন দেখি । রাতের নিরব হাসপাতলে করিডোরে ওর হাত ধরে হাটতে বেশ লাগে । তখন আর আমার হাসপাতাল খারাপ লাগার ব্যাপারটা মাথায় থাকে না । অবশ্য তৃষা সাথে থাকলে আমার কাছে আমার কাছে সব কিছুই চমৎকার মনে হয় ।

সেদিনও আমি রাতে হাজির হয়ে গেলাম হাসপাতালে । হাসপাতালের স্টাফদের প্রায়ই সবাই আমাকে ততদিনে বেশ ভাল করে চিনে ফেলেছে । তাই হাসপাতালে ঢুকতে খুব একটা সমস্যা হল না । তৃষাকে ফোন দিতেই ও লাইণ কেটে দিল । এর মানে হচ্ছে ও এখন ব্যস্ত আছে । আমি ওকে আর বিরক্ত করলাম না । একটা ছোট মেসেজ করে রাখলাম যে আমি চলে এসেছি ।

তারপরেই আস্তে আস্তে হাসপাতালের করিডোর দিয়ে হাটতে লাগলাম । ততক্ষনে প্রতিটা ওয়ার্ডের লাইট প্রায় অফ হয়ে গেছে । সব রোগীরা ঘুমিয়ে পড়েছে । তবে কেউ কেউ তখনও জেগে আছে । হাটার পথে আমার সাথে দুজন নার্সের সাথে দেখা হল । একজন আমাকে দেখে একটু হাসলো । একটু জানতে চাইছে যে আমার একা একা হাটতে কোন সমস্যা হচ্ছে কি না । আমিও প্রতি উত্তরে একটু হাসলাম ।

তৃষার গল্প - সিজন টুWhere stories live. Discover now