সকাল বেলা অফিস যাওয়ার সময় তৃষার পত্রিকা পড়ে না খুব একটা । মাঝে মধ্য মোবাইল বের করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে । নয়তো অপুর পাঠানো মেসেজ পড়ে । ওকে নিয়ে অপু ফেসবুকে কি লিখলো সেটাও পড়ে সময় পেলে! তবে আজকে ওর হাতে একটা পত্রিকা ধরা । ওর সেক্রেটারি হাসান এই পত্রিকা নিয়েই আজকে গাড়িতে উঠেছে । ওর দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে পত্রিকাটা !
তৃষা খানিকটা বিরক্ত চোখে তাকিয়ে আছে পত্রিকার দিকে । শহরে ভ্যাম্পপায়ারের উপদ্রোপ । আজ কালকার সাংবাদিকদের কি একটুই কাণ্ডজ্ঞান নেই । এই সব কেমন খবর ! ভ্যাম্পায়ার !
তবে বিরক্তের সাথে তৃষা একটু চিন্তিতও হল । কারণ শিরোনাম যাই হোক খবরটা মোটেই মিথ্যা না । হয়তো বেশ নাটকীয়তার জন্য এরকম একটা শিরোনাম দিয়েছে । এর ভেতরে একটা চিন্তিত হবার মত সংবাদ রয়েছে ।
বেশ কদিন থেকেই দেখা যাচ্ছে আশুলিয়ার এই এলাকা থেকে মানুষ গায়েব হয়ে যাচ্ছে । বিশেষ করে মহিলা গার্মেন্টস কর্মী । রাতে ওভারটাইম করে তারা যখন বাসার দিকে যাওয়া শুরু করে মাঝ পথে কেউ একলা হলেই তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না । কদিন পরে তাকে পাওয়া যাচ্ছে কোন ডোবার পাশে । সব থেকে আশ্চর্য্যের ব্যাপার হচ্ছে যে মৃত দেহটা পাওয়া যাচ্ছে তারা শরীরে কোন রক্ত থাকছে না । অটোপসী রিপোর্ট বলছে ভিক্টিমের শরীরে কোন রক্ত নেই । যেন কেউ পুরোটুকু শুষে নিয়েছে । এবং দেহের গলার কাছের দুটো ছিদ্র পাওয়া গেছে । সেখানে থেকে খানিকটা রক্ত বেরিয়ে এসে শুকিয়ে গেছে । দেখলেই মনে হয় যেন দুটো দাঁত বসিয়ে দিয়েছে । তারপর রক্ত শুষে নিয়েছে !
এই পর্যন্ত মোট ৭টা মৃত দেহ পাওয়া গেছে । সব ক্ষেত্রেই একই অবস্থা । এটা নিয়ে পুরো ফ্যাক্টরি পাড়ায় একটা আতঙ্ক কাজ করছে । যদিও তৃষার ফ্যাক্টরীর ওয়ার্কাদের বেলাতে এখনও এমন কিছু হয় নি । কিন্তু তাই বলে কর্মীদের মাঝে ভয় ছড়ানো থেমে নেই । বিশেষ করে কেউ কেউ ওভারটাইম করতে চাইছে না । ওভার টাইম করলে রাত করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে । তখন বিপদ হতে পারে এই ভয়ে । কে আর মরতে চায় এই জগতে !
হাসান গাড়ির সামনে সিটে বসেছিলো । ওর দিকে ফিরে তাকিয়ে বলল, দেখেছো কি ?
YOU ARE READING
তৃষার গল্প - সিজন টু
Short Storyতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...