আমার প্রথমে মনে হল যেন আমি ঠিক মত কথা টা শুনতে পেলাম না । তৃষা ঠিক বলল তো ? মনের ভুলের হয়তো বলে ফেলেছে । এখনই কথাটা পাল্টে দেবে । আমি কি করবো ঠিক বুঝতে পারলাম না । কথাটা কি আরেকবার জিজ্ঞেস করবো ওকে ?
আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে তৃষা আবারও বলল
-কি চুপ করে গেলে কেন ? দেখা করতে চাও না ? আচ্ছা ঠিক আছে ! দেখা করা লাগবে না !
আমি চিৎকার করে বললাম
-দেখা করতে চাই না মানে ? অবশ্যই চাই ! না মানে আমি খানিকটা কনফিউজড হয়ে আছি ।
-কি নিয়ে কনফিউজড হয়ে আছো শুনি ?
-না মানে আমি এতো দিন ধরে এতো এতো বার করে তোমাকে অনুরোধ করে গেছি কিন্তু তুমি শোনো নি । আর আজকে হঠাৎ করেই আমি কিছু না বলতেই দেখা করতে চাইলে ..তো তাই ... তোমার সাথে ঠিক যাচ্ছে না ।
-তো তোমার কি মনে হচ্ছে ? আমি অন্য কেউ ?
-আরে না না আমি কি তাই বলেছি নাকি ! তুমি অন্য কেউ হতে কেন যাবে !
যদিও আমি মুখে কথাটা বললাম তবে মনের ভেতরে কেমন যেন একটা অনুভূত হতে লাগলো । তৃষার সাথে আমি যখনই কথা বলা শুরু করি, বিশেষ করে ওর কন্ঠ যখনই শুনি তখনই আমার মনের ভেতরের সব চিন্তা গুলো একদম অন্য দিকে উড়ে যায় । জাগতিক কোন কিছুই তখন আমাকে আর স্পর্শ করে না ।
একটা উদাহরন দিলে আরও পরিস্কার হবে ব্যাপারটা । কদিন আগে আমার বাসার নিচে চোর এসেছিলো আমার সাইকেলটা নেওয়ার জন্য । কিন্তু মোট ৫টা তালা মারা ছিল বলে সাইকেলটা সে নিতে পারে নি তার বদলে আমার সাইকেলের ব্যাগ, আর সিট খুলে নিয়ে গিয়েছে । এটা দেখার পর আমার মেজাজটা চরম খারাপ হয়ে যায় । শরীরের ভেতরে রাগে ফুটতে থাকে । যাকে সামনে পাচ্ছিলাম মনে হচ্ছিলো একে ধরে কিছুটা সময় থাপড়াই । থাপলে একটু শান্তি লাগতো । দুপুর থেকে বিকাল তারপর বিকেল থেকে রাত আমার মেজাজ ঠিক এই ভাবেই কাটলো । কিছুতেই মেজাজ ঠিক হচ্ছিলো না । তৃষাকে মেসেজ দিয়ে জানালাম । ও রাতে ফোন দিল । তারপর দু মিনিট কথা বলতে না বলতেই আমি কেবল লক্ষ্য করলাম যে আমার মেজাজ একেবারে ভাল হয়ে গেছে । সাইকেলের চুরির বিষয়টা আর আমার মনটাকে বিক্ষিপ্ত করছে না ।
YOU ARE READING
তৃষার গল্প - সিজন টু
Short Storyতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...