ফার্ম হাউজের দরজা খুলে যখন বাইরে বেরিয়ে এলাম তখন বিকেলের রোদ মিইয়ে পড়েছে । আমি খানিকটা সময় তাকিয়ে রইলাম তৃষার আর এরিক জনসনের দিকে । লোকটা একটু আগেও তৃষার পাশে বসে ছিল । ওর হাতের চড় খেয়ে উঠে আবার সামনের সোফাতে গিয়ে বসেছে । আমাকে সে দেখতে পেয়েছে । আমি লম্বা করে একটা নিঃশ্বাস নিলাম । তারপর ধীর পায়ে এগিয়ে চললাম ওদের দিকে ।
চলার সময় একটু চেষ্টা করছিলাম তৃষা যেন আমাকে প্রথমেই না দেখে ফেলে । আমি চাইনা প্রথমেই ও আমার হাতের এই লম্বা চলা কাঠটা না দেখে ফেলে ! কিন্তু এরিক জনসন আমাকে ঠিকই লক্ষ্য করলো । কয়েক কদম এগিয়ে যেতে তার চোখের কৌতুহলটা আমি স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি । এরিকের চোখের কৌতুহলী চোখ দেখেই তৃষা পেছন ফিরে তাকাল ।
আমি খানিকটা হাসার চেষ্টা করলাম । কিন্তু তৃষা মোটেই হাসলো না । বিশেষ করে আমার হাতের চলা কাঠটা দেখে তার হাসার কথাও না । আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলল
-প্লিজ অপু ! না প্লিজ !
আমি যেন ওর কথা শুনে খুব মজা পেয়েছি এমন একটা ভাব নিয়ে আমি হাসলাম । তৃষা তত সময়ে আমার কাছে পৌছে গেছে । আমার হাতের কাঠটা হাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করলো । কিন্তু আমি ওকে সেটা করতে দিলাম না ।
ওকে এক পাশে সরিয়ে দিলাম । ও পেছন থেকে আবার বলল
-প্লিজ ! ফর গড সেক । এমন করে না !
আমি খুব শান্ত কন্ঠে বললাম
-তো কেমন করা উচিৎ আমার ?
-লোকটা আমেরিকান! ওনার কিছু হলে সমস্যা হবে !
-তো আমি সহ্য করে নিব । একজন সাদা চামড়া এসে আমার বউয়ের সাথে রাতে ঘুমাতে চাইবে আমি চুপচাপ সহ্য করবো ?
-আমি তাকে চড় মেরেছি তো ?
-হ্যা দেখেছি আমি ! এখন আমার কাজ আমাকে করতে দাও !
আমার সাথে কথা কাটাকাটি এতো সময় এরিক জনসন মনযোগ দিয়ে শুনছিলো তবে তার কিছুই বুঝতে পারে নি । আমি তৃষার দিক থেকে চোখ সরিয়ে এরিখের দিকে চোখ দিলাম । বেটা এখন কি স্বাভাবিক ভাবেই না তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে । এমন একটা ভাব যেন কিছুই হয় নি । আমার মেজাজটা আরও বেশি খারা[ হল ।
YOU ARE READING
তৃষার গল্প - সিজন টু
Short Storyতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...