তৃষার একবার মনে হল ও গাড়ি থেকে বের হবে না । গাড়িতেই বসে থাকবে । কিন্তু তারপরেই মনে হল দাদু বের হয়ে মাথা গরম করতে পারে । শেষে কি হবে যাবে কে জানে। তাই দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে এল । পেছনে যেতেই দেখতে পেল যুবক বয়সের একটা ছেলে ওদের গাড়ির ক্ষতিটার দিকে তাকিয়ে আছে । বাইকটা পেছনেই পার্ক করা ।
একটু আগেই এই বাইক দিয়েই ছেলেটা ওদের গাড়িটার পেছন দিক দিয়ে ধাক্কা মেরেছে । পেছনের ডিক্কির অনেকটা অংশ মুচড়ে গিয়েছে । রংটাও চটে গিয়েছে বেশ । ছেলেটা বেশ খানিকটা সময় সেই দিকেই তাকিয়ে রইলো । তৃষা দেখতে পেল ওর দাদু সেদিকে তাকিয়ে আছে । বকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে । তার আগেই ছেলেটা উঠে দাড়ালো । তারপর তৃষার দাদুর দিকে তাকিয়ে বলল
-আই এম রিয়্যালি সরি ! আসলে আমি খানিকটা অসুস্থ । এই জন্য ঠিক মত দেখতে পারি নি ।
এই বলেই নিজের পকেটঢাত দিয়ে মানিবব্যাগটা বের করলো । তারপর সেখান থেকে একটা কার্ড বের করে দাদুর হাতে দিয়ে বলল
-গাড়ির ক্ষতিটা ঠিক করিয়ে নিবেন । আর যা বিল আসে সেটা আমাকে জানাবেন । কেমন !
দাদু কোন কথা না বলে কার্ডটা হাতে নিল । সে যে চেহারা নিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়েছিলো সেটা তার মুখ থেকে অনেকটাই দুর হয়ে গেছে । ছেলেটা আর কোন কথা বলল না । নিজের বাইক স্টার্ট দিয়ে আবার সামনের দিকে এগিয়ে গেল ।
গাড়িতে ফিরে আসতে আসতে দাদুর তৃষার দিকে তাকিয়ে বলল
-আজকাল এই রকম ছেলে দেখাই যায় না । দেখলি কেমন নিজের ভুল স্বীকার করে নিল সাথে সাথেই ।
তৃষা কোন কথা না বলে কার্ডের দিকে তাকালো । নাম দেখা যাচ্ছে সাব্বির আহমেদ । ব্যাংকার ।
তিনদিন পরে নিজের রুমে বসে ছিল এমন সময় দাদুকে ঘরে ঢুকতে দেখলো । তার মুখ দেখেই বুঝতে পারছিলো যে সে খুব রাগ করে আছে । দাদুর দিকে তাকিয়ে বলল
-কি ব্যাপার ? মেজাজ গরম মনে হচ্ছে ?
দাদু কিছু সময় তৃষার দিকে তাকিয়ে রইলো । তারপর বলল
YOU ARE READING
তৃষার গল্প - সিজন টু
Short Storyতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...