তৃষার বাবা রাগ নিয়ে মেয়ের সামনে বললেন
-তুই আর বিয়ে করার জন্য ছেলে পেলি না?তৃষার মনোযোগ তখন একটা ফাইলের দিকে। ফাইল থেকে চোখ তুলে বাবার দিকে তালিয়েই বুঝলো বাবার মেজাজ বেশ খারাপ। আজকে অপুর সাথে বাবার দেখা হওয়ার কথা ছিল। নিশ্চয় সেখানে কিছু হয়েছে। খানিকটা আগ্রহী চোখে বাবার দিকে তাকিয়ে বলল
-কেন অপু আবার কি করলো?
তৃষার বাবার রাগ যেন আরও একটু বেড়ে গেল। বলল
-কি হয়েছে মানে? বেয়াদবটাকে বললাম তুমি যে কিছু কর না, আমার মেয়েটাকে খাওয়াবে কি ? বদমাইশটা বলে কি জানিস? বলে আপনার মেয়ে তো খায়ই না কিছু, একবেলা খায় তাও আবার ভেজিটেরিয়ান, তাকে খাওয়াতে পারবো। আপনি টেনশন নিয়েন না।তৃষা জানতো অপু এমন কিছুই বলবে। হেসে ফেলল। হাসতে হাসতেই বলল
-ড্যাড ও তো ঠিকই বলেছে। আমি আসলেই কিছু খাই না।
তৃষার কথা শুনে ওর বাবা যেন আরও রেগে গেল।
-এই ছন্নছাড়াটার সাথে আমি কিছুতেই তোর বিয়ে দিব না।
-ড্যাড অলরেডি আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে!
-হোক। আমি এই বিয়ে মানি না।
-আমি মানি!তৃষার অগ্নি চোখে কিছু সময় মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর ঘর থেকে বের হয়ে গেল। বাবা বের হয়ে যেতেই অপু কে ফোন দিলো।
-কি খবর?
-এই তুমি ড্যাডকে কি বলেছো?
-আমি তো কিছু বলি নি।
-তাহলে এতো রেগে গেলে কেন?
-তোমার বাবা আসলে আমাকে শুরু থেকেই পছন্দ করে নি। তার পছন্দ তো তুমি জানো?তৃষা জানে। তাই কিছু বলল না। অপু বলতেই থাকলো
-কথা বার্তা যা বলার সেই বলল। এক সময় বলল যে তুমি কিছুই কর না, আমার মেয়েকে কি খাওয়াবা। আমি বললাম আপনার মেয়েতো কিছু খায় ই না। এই জন্যই তো তাকে বিয়ে করেছি। খাওয়া খরচ বেচে যাবে আমার।তৃষা হাসতে হাসতে বলল
-তুমি আসলেই একটা পাগল।
-হুম। তা না হলে তোমাকে বিয়ে করি!! এই শুনো একাহারি থেকে আবার দোহারি হয়ে যাবা না তো? তাহলে কিন্তু খেতে দিতে পারব না।
তৃষা আবারো হাসতে হাসতে বলল
-ভয় নেই। হব না। এখন রাখো। রাতে কথা হবে আবার।তৃষা ফোন রেখে দিয়ে খানিকটা সময় হাসলো। তার বাবা আর অপুর মাঝে বেশ ঝামেলা বেঁধে যাবে সামনে। আর তৃষা এইটা ইঞ্জয় করবে খুব।
YOU ARE READING
তৃষার গল্প - সিজন টু
Short Storyতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...