যখন ফ্লাইটের জন্য ফাইনাল এনাউন্সমেন্ট হল তখনও তৃষার মনে হচ্ছিলো অপু নিশ্চয় বাইরে ওর অপেক্ষা করছে । একটা বার শেষ বারের মত কি ওর সাথে দেখা করে আসবে ?
ও নিশ্চয়ই এখনও দরজার বাইরে দাড়িয়ে আছে ? হয়তো আসতে দেরি করে ফেলেছে, ঢাকার রাস্তায় বের হলে কখনও কি ঠিক সময় মত পৌছানো যায় ?
শেষ বারের মত ওর সাথে দেখা হবে না ?
তৃষা আরেকবার তাকালো দরজাটার দিকে । চাইলেই এখন সব কিছু বন্ধ করে দিতে পারে । আগের মত সব কিছু চলতে পারে ওর জীবনে । কিন্তু ও করলো না । দরজার দিকে পা না বাড়িয়ে টার্মিনালের দিকে পা বাড়ালো । আজকেই সব কিছু ছেড়ে চলে যাবে ও । আর ফিরে আসবে না ।
অপুর উপর অভিমান থেকেই কাজটা করলো ও ।
কেন ও ওকে আটাকালো না ?
একবারও কি অপু ওকে বলতে পারতো না যে ও যেন না যায় । ওর সাথেই থাকে । কি হয়েছে বলেছে ও চলে যাবে । কত কথাই না ও বলে তাই বলে ওর সব কথা শুনতে হবে ? সব মেনে নিতে হবে /
এমন কেন করলো ও !
কেন ?
তৃষা নিজের মতকে শক্ত করলো ।
আর ভাববে না অপুর কথা ।
ও কথা দিয়েছিলো ওকে ছেড়ে কোন দিন যাবে না । কোন দিন ওকে যেতেই দিবে না তাহলে কেন এতো স হজে ওকে চলে যেতে দিল ?
কেন ?
আর কথা নাই আর ভাববেও না অপুর কথা ।
তৃষার জীবনে কখন কি করে কোন ঠিক নেই । ও এমন একটা মেয়ে যে যখন যা চেয়েছে তাই করেছে । নিজের প্রচুর জেদ আর ওর বাবার আদরের কারনে ওর কাজে কখনও বাঁধা আসে নি । তবুও ওর জীবনে মনে হয়েছে সব সময় এমন একজন মানুষ আসবে যে কখনই ওকে ছেড়ে যাবে না । ওর বাবা যেমন করে ওকে সব কিছুর পরে ওকে আকড়ে ধরে রেখেছে, তেমন একজন মানুষ ওকে এমন ভাবেই ভালবাসবে । জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ওকে আকড়ে ধরে রাখবে ।
অপুকে সে তেমনই একজন মানুষ মনে করেছিল । সে তাই বলতো সব সময় । সে কোন দিন তৃষাকে ছেড়ে যাবে না । ওদের বিয়ের দিন পর থেকে সময় গুলো কত চমৎকারই না কাটছিলো । তারপর একটা সময় তৃষা কনসিভ করে ফেলল । অপু বলার সাথে সাথে তার আনন্দ দেখে কে । কিন্তু যখনই সে কথাটা বলল অপু একদম চুপ করে গেল ।
YOU ARE READING
তৃষার গল্প - সিজন টু
Short Storyতৃষার গল্পের প্রথম সিজনের প্রতিটি গল্পই সবার পড়া । তবে সেই গল্প গুলো এখন ড্রাফটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হয়তো ভবিষ্যতে কোন দিন আবার পড়ার সুযোগ পাবেন কেউ । আপাতত তৃষার গল্পের দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে । গল্প গুলো প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলুন । হয়...