৪.
মেঘালয় দূর্দান্ত স্মার্ট একটা ছেলে। উচ্চতা ছয় ফুটের কাছাকাছি, ফর্সা প্রশস্ত দেহ। পেশিবহুল বাহু,আকর্ষণীয় ফিগার। ঘন দুই ভ্রুয়ের মাঝখানে সুক্ষ্ম ভাঁজ আর মসৃণ চুলের নিচে প্রশস্ত সুন্দর কপালটা দেখলেই ভেতরে কাঁপুনি ধরে যায়। গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, যথেষ্ট পিংক কালারের গোলাপির পাপড়ির মতন দুটো ঠোঁট। ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি লেগেই থাকে। সে হাসি মেয়েদের ভেতরে ঝড় তোলে। ভয়ংকর মায়াবী দুটো চোখ আর প্রাণবন্ত হাসি যেকোনো মেয়েকেই পাগল করার জন্য যথেষ্ট। তার হাঁটাচলা, প্রত্যেকটা শব্দের উচ্চারণ বুঝিয়ে দেয় "আমার কাছে এসো না, কারণ আমি সবার চেয়ে আলাদা।" মেঘালয়কে দেখে মিশুর এই কথাগুলোই মনে পড়ছে। কারণ বিপজ্জনক রকমের হ্যান্ডসাম এই ছেলেটার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব দিয়ে কাউকে গ্রাস করে ফেলতে ওর খুব বেশি সময় লাগবে না। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ওর দিকে চেয়ে এই কথাগুলোই ভাবছে মিশু। সায়ানের প্রশ্নে চমকে উঠলো।
-"এখন কেমন লাগছে?"
-"পাগল হওয়ার মতন।"
সায়ান ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকালো। খেয়াল করলো মিশু মেঘালয়ের দিকে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ হয়ে। মিশুর মগজে কি চলছে সেটা বুঝতে সময় লাগলো না ওর। মেয়েটি নিশ্চয়ই ভাবছে এই ছেলেটা "হিরো" হওয়ার সব ধরণের যোগ্যতাই রাখে। ঢালিউডে ওকে টেনে নিলে নিঃসন্দেহে ভালো করবে। কিন্তু ছেলেটির পারসোনালিটি অনুযায়ী তামিল নায়কের সাথে বেশ যায়। "বাহুবলি" টাইপ সিনেমা গুলোর জন্য একদম পারফেক্ট।
মিশু এখনো অপলক ভাবে চেয়ে আছে মেঘালয়ের দিকে। আর মেঘ ও ওর চোখ থেকে চোখ সরাচ্ছে না। সায়ান আবারো জিজ্ঞেস করলো, "কেমন ফিল হচ্ছে?"
-"খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।"
জিহ্বায় কামড় দিয়ে মাথা নিচু করে ফেললো সায়ান। সর্বনাশ করেছে। মেঘালয়কে নিয়ে কোথাও গেলে এই এক বিপদ, মেয়েদেরকে টোপ ফেলা বড়শির মত টেনে নেয়। মিশুর মাথাটাও গেছে বোধহয়। সায়ানের বুঝতে অসুবিধা না হলেও বাকিরা বুঝতে পারলো না কিছুই। কারণ সবাই নিজেদের মধ্যে কথোপকথনে ব্যস্ত। মেঘালয় এখনো মিশুর চোখ থেকে চোখ সরায় নি। আবারো মেয়েটাকে হিপনোটাইজড করতে চাইছে কিনা কে জানে!
YOU ARE READING
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Adventureমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...