29

1K 40 0
                                    

২৯

মেঘালয় রীতিমতো জোর করেই দ্রুত মিশুকে নিয়ে হোটেলে ফিরে এলো। রাত এগারো টার মত বেজে গেছে। এখন সুন্দর জোৎস্না ছড়িয়েছে সবখানে, আলোয় স্নান করা যেতো শান্তিমত। কিন্তু হঠাৎ মেঘের কি হয়েছে কে জানে! বারবার বলতে লাগলো ফিরে যাওয়ার কথা। মূলত মিশুকে স্নিগ্ধ আলোয় ভেজা অবস্থায় দেখেই মাথাটা এলোমেলো হয়ে গেছে ওর। মিশু বুঝতে না পেরে বারবার প্রশ্ন করতে লাগলো।

হোটেলে ফিরে লবি থেকে রুমের দিকে যাওয়ার পথে কয়েকটা মেয়েকে দেখে মিশু মেঘালয়ের বাহু ধরে টান দিয়ে বললো, 'ওরা কারা?'

মেঘালয় এক পলক ওদের দিকে তাকিয়ে মিশুকে বললো, 'ওরা কারা?'

- 'হুম, কে ওরা? যাওয়ার সময়েও দেখলাম এখানে ঘুরঘুর করছে। এখনো ঘুরঘুর করছে। কি করে ওরা?'

মেঘালয় একটু এগিয়ে এসে ফিসফিস করে বললো, 'দেখতে চাও ওদের কাজ? একটু আড়ালে দাঁড়াও আর দেখো ওকে?'

মিশু মাথা ঝাঁকিয়ে বললো, 'ওকে। আপনি যাচ্ছেন কোথায়?'

- 'চুপ করে দেখতে থাকো ওদের কাজকর্ম। মজা পাবা। আর আমাকে ফলো করো।'

মেঘালয় মিশুকে আড়ালে দাঁড় করিয়ে দিয়ে নিজে গিয়ে একটা মেয়ের সামনে দাঁড়ালো। মেয়েটির আপাদমস্তক তাকিয়ে দুষ্টুমি ভরা হাসি দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। মিশু কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে আছে। অর্ধেক মিনিটের পর আবারও ফিরে এলো মেঘালয়। মেয়েটির সামনে এসে আরেকবার দুষ্টুমি ভরা হাসি দিলো। মিশুর কৌতুহলের সীমা নেই। মেঘালয় জিভ দিয়ে নিজের ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে মাথাটা একটু বাঁকা করে মেয়েটিকে দেখলো। তারপর সোজা চলে গেলো সিঁড়ির দিকে। মিশু খেয়াল করে দেখলো মেঘালয়কে অনুসরণ করে মেয়েটিও যাচ্ছে সিঁড়ির দিকে। মেঘালয় বলে দিয়েছিলো ওকে ফলো করতে। পিছুপিছু যাবে কিনা ভাবতে ভাবতে হাঁটা শুরু করে দিলো মিশু।

মেঘালয় একটু এগিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে নিজের চুলগুলো ঠিক করে নিলো। মেয়েটি নিঃসংকোচে গিয়ে মেঘালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে কি যেন বলতে আরম্ভ করলো। জায়গাটায় অন্ধকার হওয়ায় দূর থেকে কিছুই বোঝা যাচ্ছেনা। মেঘালয় হাঁটতে হাঁটতে সুইমিংপুলের দিকে চলে গেলো। মেয়েটিও চললো ওর পাশে পাশেই। মিশুর কৌতুহল চরমে পৌঁছে গেছে। কি সমস্যা মেয়েটির?

হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)Where stories live. Discover now