46

1K 38 0
                                    

৪৬

বাসার সবার কাছে থেকে বিদায় বেড়িয়ে পড়লো বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে। মেঘালয় এয়ারপোর্টে এসেছে ওদের সাথে। বাবার পাশে বসে দুজনেই শান্ত হয়ে বসে ছিলো। কিন্তু বুকের ভেতরটা ঠিকই ফাটছিলো। দুজনই দুজনকে অনুভব করছে। মেঘালয়ের কষ্ট হচ্ছে মিশুকে ছাড়তে আর মিশুরও কষ্ট হচ্ছে মেঘালয়কে রেখে যেতে। বারবার শুধু চোখাচোখি হচ্ছিলো। শেষ চোখাচোখির সময়ে মেঘালয়ের চোখে অন্যরকম মায়া খুঁজে পেয়েছিলো মিশু।

খুব উৎফুল্ল মনে বাসায় ফিরলো মিশু। সন্ধায় কলিং বেল বেজে উঠলে দরজা খুলে বড় ধরণের ধাক্কা খেয়ে গেলো। তন্ময় কেন এসেছে! আবার কোন বিপদ ঘটাতে এসেছে সে?

তন্ময়কে দেখেই ভয়ে কেঁপে উঠলো মিশু। শরীরটা কাঁপতে লাগলো রীতিমত। একদিকে পাগলের মত ভালোবাসা, প্রতারণা, সেই রাতের ভয়াবহ ঘটনা সবকিছু ভেবে শিউরে উঠলো ও। এই কাপুরুষ টাকে হঠাৎ দেখতে পেয়ে একইসাথে অনেক ধরণের অনুভূতি কাজ করছে। ডুকরে কান্না আসছে, আবার ঘৃণায় ওর গালে থাপ্পড় লাগাতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু মিশু জানে ওটা করতে পারবে না ও। নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে ওর। তন্ময় হঠাৎ একটু এগিয়ে এসে মিশুর মুখটা একহাতে ধরতেই জ্ঞান হারিয়ে ঢলে পড়ল মিশু।

তন্ময় ওকে ধরে জোরে মিশুর মাকে উদ্দেশ্য করে আন্টি আন্টি বলে ডাকতে শুরু করে দিলো। মা ছুটে এসে মেয়েকে এভাবে পড়ে থাকতে দেখে আঁৎকে উঠলেন। উনি এসে মিশুকে ধরার চেষ্টা করার আগেই তন্ময় ওকে কোলে নিয়ে পাশের রুমে চলে গেলো।

আন্টি পিছু পিছু ছুটতে ছুটতে বললেন, 'কে তুমি? তোমাকে দেখে ও সেন্সলেস হয়ে গেলো কেন?'

তন্ময় মিশুকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বললো, 'আন্টি আমি তন্ময়।'

মা নিজেও শিউড়ে উঠলেন নাম শুনে। এই মুহুর্তে বাসায় ওনার স্বামীও নেই। এই ছেলেটার জন্য একটার পর একটা দূর্ঘটনা ঘটে গেছে। মান সম্মান ধূলায় মিশে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো। সমস্ত ঘটনার উৎস এই তন্ময় থেকেই। আর সে এখন সামনে দাঁড়িয়ে আবার মিশুকে ছুঁয়েও দেখেছে? খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করছে।

হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang