11

1.1K 43 0
                                    

১১.

সায়ানের শয়তানি হাসি দেখে মুখ কুঁচকে মেয়েটি অন্যদিকে তাকালো। সায়ান তখনও মিটিমিটি হাসছিলো। টুকটাক কথা বলার পর জানা গেলো মেয়েটিও অবনীর বিয়েতেই যাচ্ছে। সে অবনীর খালাতো বোন। ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করে। বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্যই বেড়িয়েছে কিন্তু ভূল করে সকালের ট্রেনের সময়টাকে রাতের ট্রেন ভেবে রাত্রিবেলা স্টেশনে আসে৷ এসে দেখলো তার ট্রেন সকালে চলে গেছে। বাধ্য হয়েই রাতের ট্রেনের টিকেট করতে হলো কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত কোনো আসন পায়নি। তাই কেবিনে ঘুরাঘুরি করছিলো।

ঘটনা শুনে সবার আগে সায়ান বললো,'বান্ধবীর খালাতো বোন মানে আমাদের ও খালাতো বোন। এতগুলা খালাতো ভাই থাকতে দুশ্চিন্তা করতে হবেনা বোন। তো খালাতো বোনের চোখেমুখে এত রাগ কেন?'

মেয়েটিও কম না। সে ঝটপট জবাব দিলো, 'খালাতো ভাইদের পিছনে যদি একটা করে লেজ থাকে তাহলে রাগ না হয়ে উপায় আছে?'

- 'সেকি! আমার পিছনে লেজ গজিয়েছে? আমিতো জানতাম না। এনিওয়ে তুমি লেজ কিভাবে দেখলে? কারো প্যান্টের পিছনে ছেড়া নাকি?'

সবাই হেসে ফেললো ওর ফাজলামির ধরণ শুনে। মেয়েটিও না হেসে পারলো না। সায়ান আর ওর বন্ধুদের সবার সাথে গল্প করতে করতে রাগগুলো ধীরেধীরে কমে যাচ্ছে। এখন আর আগের মত সায়ানকে খারাপ মনে হচ্ছেনা। তবুও অন্যরকম একটা খুনসুটি ময় ঝগড়া লেগেই থাকলো ওদের মধ্যে।

ট্রাক থেকে নেমে রেস্টুরেন্টে এসে ঢুকলো মেঘালয় ও মিশু। মিশুর শরীরের অবস্থা ভালো নয়। মেঘালয় ওকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিচ্ছে সবকিছুর ব্যাপারে৷ হাত ধরে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাওয়া, গ্লাসে পানি ঢেলে দেয়া, বের হওয়ার পর হাত ধরে অটোতে তোলা সবকিছুতেই সহযোগিতা করলো। মিশু যখন ওকে গুরুজি বলে ডাকে তখনই ফিক করে হেসে ফেলে মেঘালয়।

মেঘালয় রংপুরে পৌছে মিশুকে নিয়ে সোজা কাউনিয়ায় এক বন্ধুর বাসায় চলে এলো। বাড়িতে ছেলেটা একাই থাকে। লাঞ্চের পর মিশু ও মেঘালয়কে বাসায় রেখে ডিউটিতে চলে গেলো সে।

মেঘালয় বললো, 'এখন শুয়ে একটা লম্বা ঘুম দাও। রাতে তো জোৎস্না বিলাসে যাবো'

হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)Where stories live. Discover now