৩৩.
মেঘালয় বললো, 'অয়ন্তিকা আমার ফ্রেন্ড। মেয়েটার সাথে একটা ভালো ফ্রেন্ডশিপ আছে। ও আমার অনেক কেয়ার করে, ওই সবসময় ফোন টোন দেয়। রিসিভ করে টুকটাক কথা বলতাম, এতটুকুই।'
মিশু মুচকি হেসে বললো, 'আমি কি জানতে চেয়েছি?'
চোখাচোখি হয়ে গেলো মেঘালয়ের সাথে। মিশুর চোখেমুখে হাসির ঝিলিক। আর্মিদের কাছে সম্মানিত হবার কারণে অনেক আনন্দ হচ্ছে। মেঘালয় চোখে চোখ রেখেই বললো, 'জানানোটা আমার দায়িত্ব। আমার স্ত্রী যেন কখনো ভূল না বোঝে।'
- 'সে আপনার প্রেমিকা হলেও আমার কিছু যায় আসেনা।'
- 'তাই নাকি? যদি প্রেমিকা হতো?'
- 'আপনার উপর ডিপেন্ড করতো সেটা। আপনি যদি বলতেন আপনি তার সাথেই থাকতে চান, আমি জায়গা ছেড়ে দিতাম।'
- 'হা হা হা।'
হো হো করে হেসে উঠলো মেঘালয়। হাসতেই লাগলো শব্দ করে। গাড়ির ড্রাইভার একবার পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো ওর হাসি। প্রাণবন্ত হাসি হাসছে ছেলেটা। হাসি থামিয়ে বললো, 'তোমার মধ্যে অনেক গুণ আছে দেখছি।'
- 'থাক, আর বলতে হবেনা।'
- 'আমি টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম বিশ্বাস করো।'
- 'করলাম। একটা চুমু খাবো।'
কথাটা বলেই মিশু চোখ বন্ধ করে ঠোঁট এগিয়ে আনলো। মুচকি হেসে সেই ঠোঁট স্পর্শ করলো মেঘালয়। ঠোঁটে ঠোঁটেই শত না বলা কথা বলা হয়ে গেলো।
হিমছড়িতে পৌঁছে গাড়ি থেকে নেমে টিকেট কেটে নিলো। মিশু ঘুরেঘুরে আশেপাশের দোকানগুলো দেখছিলো। গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে সোজা গিয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা আরম্ভ করতে হলো৷ লম্বা লম্বা শতাধিক সিঁড়ি। সব পেড়িয়ে সোজা পাহাড়ের উপর চলে যেতে হবে। দুজনেই হাত ধরাধরি করে ওঠা শুরু করে দিলো। কিছুদূর ওঠার পর ওড়নাটা মাথায় বেঁধে ফেললো মিশু। ওড়না দিয়েই টুপি বানিয়ে আবারও ওঠা শুরু করে দিলো। ব্যাপারটা ভালো লাগলো না মেঘালয়ের। মুখটা বিকৃত করে বললো, 'নিচে নামো, আগে ক্যাপ কিনে নিয়ে আসি তারপর উপরে উঠবো।'
![](https://img.wattpad.com/cover/188007503-288-k560327.jpg)
YOU ARE READING
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Adventureমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...