১৪.
মেঘালয় একবার পুরো পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করলো কিন্তু কেউই ওর কথা শুনতে চাইলো না। ওদেরকে কথা বলার কোনো সুযোগ ই দেয়া হলোনা। মিশুর বাবা, চাচা সবাই রেগে আছেন। মেয়ের জন্য এতটা অপমানিত হতে হলো তাও আবার অচেনা এলাকায়। সেখানকার লোকজন কখনো এলাকায় এসে এসব বললে কি যে রটে যাবে পুরো এলাকায়!
মিশুর বাবা শুনেছেন মেয়ে প্রেমিকের কাছে গেছে, আর এই ছেলের সাথে অপ্রীতিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে ওকে। আর কিছুই শোনার প্রয়োজন মনে করছেন না ওনারা। সকলেই মেঘালয় ও মিশুর প্রতি ভীষণ রেগে আছেন।
ভোরবেলা মিশুদের বাসায় পৌছে মেঘালয় ও মিশু দুজনকেই আলাদা আলাদা ঘরে তালা দিয়ে রাখা হলো। মেঘালয়ের কথা বলার কোনো সুযোগ ই রইলো না। ও শুধু ভয় পাচ্ছে কথাটা যেন বাবার কানে কোনোভাবে না যায়।
কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার এইযে, মিশুর অভিভাবক সবাই মিলে সকাল ১১ টায় কাজি ডেকে মেঘালয়ের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দিলো মিশুর। মেঘালয় একেবারে অসহায়, কথা বলার কোনো সুযোগ পায়নি। মেয়ের জন্য অপমানিত হয়ে ওনারা এতটাই রেগে গেছেন যে প্রয়োজনে মারধোর করে হলেও বিয়ে দিয়ে দিবেন। বাধ্য হয়েই মেঘালয়কে বিয়ে করতে হলো। এদিকে মিশুর ও কিছুই করার ছিলোনা। বাবার রাগি চেহারার দিকে তাকিয়ে কবুল বলতেই হলো।
মিশু সুইসাইড করার জন্য ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচাচ্ছে। এভাবে পরিবার ও মেঘালয়ের অপমানের কারণ হয়ে বাঁচতে ইচ্ছে করছে না। বাবা মা অনেক রেগে আছেন। আর মেঘালয়ের মত একজন মানুষের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে ও। ছেলেটা নিজের বাবা মাকে মুখ দেখাবে কিভাবে? আজীবন ব্যক্তিত্ব আর সম্মানের সাথে বেঁচে থাকা মানুষ টাকে সবার চোখে লজ্জার পাত্র বানিয়ে দিয়েছে। এসবের জন্য মিশু নিজেকে ক্ষমা করতে পারছে না। মেঘালয় ও নিশ্চয় ক্ষমা করতে পারবে না ওকে।
ওড়নার প্যাঁচে গলা ঢুকিয়ে পায়ের তলা থেকে টুলটা লাথি মেরে ফেলে দিয়েছে এমন সময় মিশুর ছোটবোন মিতু পাশের রুম থেকে শব্দ শুনে চমকে উঠলো। মিশুর গলা থেকে অদ্ভুত আওয়াজ বেড়িয়ে এসেছে। মিতু দ্রুত দরজা খুলে দেখেই জোরে একটা চিৎকার ছাড়লো।
YOU ARE READING
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Adventureমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...