৩০.
ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সকাল সারে আটটা বাজে। ইয়া বড় হাই তুলে মিশু মেঘালয়ের দিকে তাকালো। মেঘালয় চোখ মেলে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। সমুদ্রের গর্জন কানে ভেসে আসছে। মিশু ঘুম জড়ানো গলায় বললো, 'কখন উঠলে?'
- 'অনেক্ষণ হলো।'
- 'ওঠোনি যে?'
- 'তোমাকে ফেলে? অসম্ভব।'
মিশু মুচকি হেসে মেঘালয়কে জাপটে ধরে বললো, 'আপনি অনেক ভালো। আপনার সাথে মিশে মিশে আমিও আপনার মত হয়ে যাচ্ছি।'
- 'হুম সেটাই তো চাই।'
এরপর বাবা, মা ও ছোটবোনের সাথে ফোনে কথা বলার পর মিশু বললো, 'একটা নিউজ আছে। স্কলারশিপের জন্য এপ্লাই করেছিলাম। সেটার পরীক্ষার ডেট দিয়েছে, আর এক সপ্তাহ পর পরীক্ষা। আমার তো আর পরীক্ষাটা দেয়া হবেনা। আপনাকে রেখে দেশের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে আমার একটুও নেই।'
মেঘালয় হেসে বললো, 'থাক তাহলে। অযথা পরীক্ষা দিয়ে কি হবে? তুমি এখন থেকে আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমোবে। আর ভার্সিটির জন্য প্রিপারেশন নাও এখন থেকেই। আমিতো আছি ই।'
- 'উম আচ্ছা। আমরা হিমছড়িতে কখন যাবো?'
- 'ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নাও। নাস্তা করেই বের হবো।'
মিশু আনন্দে লাফ দিয়ে উঠে বসলো বিছানার উপর। ছোটবেলা থেকেই মেয়েটা ঘুরতে বড্ড ভালোবাসে। আজকে আবারো সমুদ্রে যাওয়া হবে। একদিকে পাহাড় আরেকদিকে সমুদ্র! উফফ কি আনন্দ হচ্ছে!

YOU ARE READING
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Adventureমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...