73

1.1K 42 1
                                    

৭৩
মেঘালয় রুমে এসে দেখলো মিশু বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছে। স্নিগ্ধতা ভর করেছে ওর পুরো শরীরে। মেয়েটা হুট করেই কেমন বড় হয়ে গেলো না? মুগ্ধতায় ডুবে গেলো মেঘালয়।

মিশু চায়ের কাপ হাতে নিয়ে প্রসন্ন হাসি দিয়ে বললো, 'থ্যাঙ্ক ইউ...'

মেঘালয় চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বললো, 'মিশু, বাসর রাতটা আমার কাছে অনেক স্পেশাল। এটা শুধুমাত্র দুজন মানুষের শরীর মিলিত হবার রাত নয়, দুটো আত্মা মিশে যায় এ রাতে। দুটো দেহ মিলে একটা আত্মা হয়, দুটো শরীর একই আত্মায় বাস করে। এ রাতে বাকি জীবনের স্বপ্নগুলোর প্রস্তুতি শুরু হয়, দুজন মানুষের স্বপ্ন এক হয়ে একটা শক্তিশালী স্পৃহা তৈরি হয়। বিয়ে মানুষের লাইফ শেষ করে না, বরং বিয়েতে জীবনটা নতুনভাবে শুরু হয়। বিয়ের পূর্বের জীবনের প্রতি আমাদের সবসময় হাত থাকে না, সেটা বাবা মায়ের ইচ্ছেমত চলে। কিন্তু বিয়ের পরের লাইফে তুমি আমি যেভাবে চাইবো, ঠিক সেভাবেই চলবে।'

মিশু চায়ে চুমুক দেয়ার বদলে মেঘালয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। ছেলেটা এত সুন্দর করে কথা বলে কেন!

মেঘালয়ের কথা শুনে চমকে উঠলো, 'চা ভালো হয়নি?'

মিশু হেসে বললো, 'অন্নেক ভালো হয়েছে। আপনার কথাগুলো শুনতে ভালো লাগছিলো। খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।'
- 'সেজন্যই চা করে আনলাম। চায়ের সাথে আমার কথাগুলোকেও গিলে খেয়ে ফেলো।'

মিশু মুচকি হাসলো। মেঘালয় আবারো চা'য়ে চুমুক দিয়ে বললো, 'ফুলশয্যা মানে কিছু অব্যক্ত অনুভূতির প্রকাশ, কিছু এলোমেলো স্বপ্নকে একত্রিত করা। আমার কিছু স্বপ্ন আছে, সেসব ই বলবো তোমাকে। চা টা শেষ করো।'
মিশু চায়ের কাপ রেখে বললো, 'শেষ। এখন খুব চাঙা লাগছে।'

মেঘালয় টেবিলের কাছে গিয়ে মিশুকে ডেকে বললো, 'এখানে আসো।'

মিশু শাড়ি তুলে ধরে মেঘালয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। মেঘালয় চায়ের কাপ দুটো ওর হাতে দিয়ে বললো, 'এগুলো ধুয়ে রান্নাঘরে রেখে আসো।'
- 'এখনি?'
- 'হ্যা। তোমার ক্লাস এখন থেকেই শুরু হোক। এর মোরাল হচ্ছে, সবসময় দুজন দুজনকে কাজে হেল্প করবো। আর দ্বিতীয়ত, কোনো কাজ পরে করার জন্য ফেলে রাখবা না। যখনকার কাজ, তখন করবা।'

হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)Where stories live. Discover now