৮.
সায়ানকে সবাই শনপাপড়ি বলে ডাকে৷ সেয়ানা মাল বলেও ডাকা হয়৷ এই নামের উৎপত্তির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান যে মেয়েটির সে হচ্ছে অবনী। এখন সবাই মিলে সেই অবনীর বিয়েতেই যাচ্ছে৷ বন্ধুরা যখন এসব নিয়ে হাসাহাসি করছিলো সায়ান তখন মনেমনে ভাবছে মেঘালয় ও মিশুর কথা। সেই যে ওরা চলে গেলো, আর আসার নাম গন্ধই নেই। মেঘালয় কখনো কোনো মেয়েকে এতটা পাত্তা দিয়েছে বলে সায়ানের মনে পড়ছে না।
ও ঝাপ দিয়ে সিট থেকে নেমে পড়লো। কেবিন থেকে বেড়িয়ে এসে কল দিলো মেঘালয়ের নাম্বারে। মেঘালয় রিসিভ করতেই সায়ান বললো, 'গরীবের বাহুবলি, ভাই কই আপনি?'
- 'ট্রাকের উপরে আছি৷'
- 'রাজকন্যাকে কি আপনার ট্রাক মনেহচ্ছে ভাই?'
- 'অশ্লীল কথাবার্তা কবে বাদ দিবি শনপাপড়ি?'
- 'দুইটা বাচ্চার বাপ হলে। তুই কই আছিস মেঘুশালা?'
- 'বললাম তো ট্রাকের উপর।'
- 'রেলগাড়িতে ট্রাক কই পাইলি তুই? গাড়িটাকে কি তোর ট্রাক মনেহচ্ছে?'
মেঘালয় হাসতে হাসতে বললো, 'ইয়ার্কি না দোস্ত। একটা এক্সিডেন্ট হয়ে গেছে।'
- 'মানে!'
- 'মানেটা পড়ে বুঝাই? ফোনে এতকিছু বলা সম্ভব না। কালকে শুনিস।'
মেঘালয় কল কেটে দিলে সায়ান বাথরুমের দিকে চলে গেলো। বাথরুমে ঢুকে দরজা লাগাতে যাবে এমন সময় দেখলো সেখানে একটি মেয়ে। মেয়েটি ভয়েই চিৎকার দিতে যাবে এমন সময় সায়ান এক হাতে ওর মুখ চেপে ধরলো। চোখ পিটপিট করে ভয়েই কাঁপছে মেয়েটি।
সায়ান হাত ছেড়ে দিয়ে বলল, 'চেঁচাবেন না প্লিজ। নয়ত আমাকে গণধোলাই দেবে পাবলিক।'
- 'আপনি এখানে কেন? বলা নেই, কওয়া নেই সোজা বাথরুমে ঢুকে গেলেন একেবারে?'
- 'হুস। এটা কি আমার শ্বশুরের বেডরুম যে বলে কয়ে ঢুকতে হবে?'
মেয়েটি রেগে বলল, 'আপনার বোঝা উচিৎ ছিলো ভেতরে কেউ আছে৷ এ রকম হুট করেই ঢুকে পড়লেন কেন?'
- 'আপনি কোন আক্কেলে দরজা খোলা রেখে বাথরুমে ঢুকে পড়েছেন?'
মেয়েটি আরো রেগে বলল, 'আমার আক্কেল নিয়ে কথা বলার আগে নিজের আক্কেল চেক করেন। এই দেখেন দরজা লাগালেও খুলে যায় আপনা আপনি। আমি তো সেটা জানতাম না।'

ВЫ ЧИТАЕТЕ
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Приключенияমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...