৩৬.
মৌনি অনেকটা ডিটেকটিভ মাইন্ডের মেয়ে। সবসময় রহস্য খুঁজতে আর উদঘাটন করতে ভালোবাসে। প্রখর আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মেয়েটি কখনো অন্যায়ের কাছে হার মানেনা। স্পষ্ট কথা অনায়াসে বলে ফেলে আর সবসময় আত্মবিশ্বাসী। বাবাকে হসপিটালে অসুস্থ অবস্থায় রেখেই বেড়িয়ে পড়েছে সমস্যার সমাধান করতে। মাকে রেখে গেছে বাবার পাশে। মা নিজেও একজন ভালো ডক্টর। মা থাকতে বাবার পাশে আর কাউকে প্রয়োজন নেই।
যে আত্মীয়ের কাছ থেকে বাবার কাছে প্রথম কল এসেছে প্রথমেই তার কাছে যাবে ও। মেঘালয়ের মানসিক অবস্থা এখন খুবই খারাপ। সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সামান্য উপকারে আসতে পারলেও মৌনির নিজেকে বোন হিসেবে সার্থক মনে হবে। মেঘালয় মৌনির কলিজার অর্ধেক। মেঘের জন্য সবচেয়ে বেশি কেউ ভেবে থাকলে সেটা মৌনি নিজেই।
মৌনির এক পরিচিত মেয়ে এয়ারলাইন্সের টিকেট বিক্রির জব করে। ও সবার আগে মেয়েটিকে ফোন দিয়ে বলে দিলো যেভাবেই হোক কক্সবাজার থেকে ঢাকার দুটো টিকেট ম্যানেজ করতে পারবে কিনা? মেয়েটি বলেছে খোঁজ নিয়ে জানাবে।
এরপর গেলো সেই আত্মীয়ের বাসায়। লোকটি মেঘালয়ের চাচাতো ভাই। বয়সে মেঘালয়ের চেয়ে বছর চারেক বড় হবে। মৌনি সোজা বাসায় গিয়ে ওকে ডেকে নিয়ে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলো। বাড়ির লোকজন সবাই থ!
মৌনি সরাসরি জিজ্ঞেস করলো, 'রাফিন ভাইয়া তুমি কি দেখেছো ফেসবুকে ক্লিয়ার করে বলোতো?'
রাফিন অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো মৌনির দিকে। মৌনির চেহারায় যে দৃঢ়তা ফুটে উঠেছে তা দেখেই ভেতর থেকে একটা ভালোলাগা কাজ করছে। ইচ্ছে করছে অকপটে কথা বলি মেয়েটার সাথে।
রাফিনকে চুপ থাকতে দেখে মৌনি বললো, 'ভাইয়া এখানে কয়েকটা জীবনের জীবন মরণের প্রশ্ন জড়িয়ে আছে। একটা ফ্যামিলির সম্মান জড়িয়ে আছে।'
- 'মানে!'
- 'বাবার হার্ট এটাক হয়েছে।'
হা হয়ে গেলো রাফিন। আকাশ আহমেদকে সবাই যে পরিমাণ ভালোবাসে আর সম্মানের চোখে দেখে, তাতে এরকম খবর শুনলে সত্যিই খারাপ লাগে। রাফিন বললো, 'আমি তোকে পোস্টটা দেখাচ্ছি।'

ВЫ ЧИТАЕТЕ
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Приключенияমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...