২৪
সাদা তুলতুলে পশমী সোয়েটার ও লাল টুপিতে মিশুকে খরগোশের বাচ্চার মতন লাগছে৷ ঠোঁট দুটো অসম্ভব রকমের গোলাপি, কালো জিন্সের উপর সাদা সোয়েটার। মাথায় লাল রঙা টুপি, পায়ে কালো কেডস, কানে সাদা ইয়ারফোন। একেবারে খুকি খুকি ভাব চলে এসেছে চেহারায়।
বাস ছাড়ার পর থেকেই মিশু কথার ঝুড়ি খুলে বসেছে৷ ছোটবেলার গল্প শুনিয়ে যাচ্ছে মেঘালয়কে। মিশু ছোটবেলা থেকেই প্রচুর বকবক করতো। বান্ধবীদের সাথে গল্প করতে করতে নিজের বাড়ি পেড়িয়ে অনেক দূর চলে যেতো। এরপর যখন বুঝতে পারতো বাড়ি পার হয়ে এসেছে তখন আবার ফিরে আসতো। কথা বলতে প্রচুর ভালোবাসে এই মেয়েটা। তন্ময়ের প্রতারণার শিকার হওয়ার পর থেকে হুট করেই কেমন যেন চুপসে গেছে৷ মেঘালয় খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছে মিশুর কথাগুলি। মেয়েটা কথা বলার সময় সমানতালে দুহাত নাড়াতে থাকে৷ ভালোই লাগে ব্যাপারটা।
মিশু কথা থামিয়ে বললো, 'এই কি দেখছেন এভাবে?'
- 'তোমাকে আজকে খরগোশের বাচ্চার মতন লাগছে।'
- 'আমার আব্বুকে আপনার খরগোশ মনেহয়?'
- 'ছি ছি আমি মোটেও এরকম বলিনি।'
- 'আমি বুঝি। আমাকে পুতুলের মতন লাগছে না?'
- 'হুম। ইচ্ছে করছে কোলে বসিয়ে নিয়ে আদর করি।'
- 'কোলে উঠি?'
মেঘালয় মুচকি হেসে বললো, 'রাত নামুক। বাসের লাইট নিভিয়ে দিলে কোলে নিবো।'
মিশু লজ্জায় মাথাটা ঘুরিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো। মেঘালয়কেও আজ দারুণ হ্যান্ডসাম দেখাচ্ছে। গালের খোঁচা খোঁচা চাপদাড়ি গুলো আগের চেয়েও সুন্দর দেখাচ্ছে। মিশুর ইচ্ছে করছে গালটা ওর গালের সাথে ঘষে দিতে৷ রাত কখন নামবে?
মেঘালয় বললো, 'আমি এজন্মে কখনও ভাবিনি এভাবে আমার বিয়ে হবে। কি অদ্ভুতভাবে সবকিছু ঘটে গেছে। অবশ্য যা হয়েছে ভালোই হয়েছে৷ শীতকালে এরকম একটা কোলবালিশ দরকার ছিলো।'
মিশু মেঘালয়ের কাঁধে মাথা রেখে বললো, 'আপনি অনেক ভালো।'
মেঘালয় মিশুর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললো, 'তোমার ঠোঁটদুটো এত লোভনীয় লাগছে কেন? ইচ্ছে করছে কামড়ে শেষ করে দেই।'

YOU ARE READING
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Adventureমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...