66

1.1K 37 0
                                    

৬৬
সকালবেলা
মিশুর ঘুম ভাংলো মেঘালয়ের ডাকে। চোখ পিটপিট করে জিজ্ঞেস করলো, 'এত সকালে ডাকলেন যে?'
- 'আম্মু উঠে নাস্তা বানাচ্ছে। তুমি গিয়ে একটু হেল্প করো।'
- 'আচ্ছা।'
মিশু উঠতে উঠতে চুল বাঁধছিলো। মেঘালয় মিষ্টি করে হেসে বললো, 'ঘুম থেকে ওঠার পর তোমাকে খুব মায়াবী লাগে।'
মিশু মাথাটা নিচু করে মেঘালয়ের কপালে একটা চুমু দিয়ে বললো, 'আমি যাচ্ছি। রান্নাঘরের আশেপাশে একটু ঘুরঘুর করবেন প্লিজ?'
মেঘালয় ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললো, 'কেন?'
- 'আপনি ঘুরঘুর করলে আমার আনন্দ হবে।'
হাসি পেলো মেঘালয়ের। হাসি চেপে রেখে বললো, 'আচ্ছা যাও, আমি আসছি।'
মিশু ফ্রেশ হতে চলে গেলো। মুচকি হাসলো মেঘালয়। পাগলী একটা। এভাবে কেউ বলে? রান্নাঘরের আশেপাশে একটু ঘুরঘুর করবেন প্লিজ? ভেবে আরেক ঝলক হেসে নিলো মেঘালয়।

.
রান্নাঘরের আশেপাশে ঘুরঘুর করছে মেঘালয়। মহারাণী মিশুর আজ্ঞা বলে কথা। মিশু আড়চোখে দেখছে আর মুচকি হাসছে। শ্বাশুরি মায়ের সাথে রুটি বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ও।

মিশু ঝটপট রুটি বেলছে। ওর হাতের গতি দেখে মা বললেন, 'বাব্বাহ! এত দ্রুতগতির রুটি কিভাবে বানাচ্ছো মিশমিশ? দেখো আবার যেন ছিঁড়ে না যায়।'
- 'দেখুন আমি কত সুন্দর রুটি বানিয়েছি, একটাও কি ছিঁড়েছে?'
- 'তা হয়নি। বলে রাখলাম আরকি। রুটির দোকান ছিলো নাকি তোমার?'

মিশু ক্ষেপে গিয়ে বললো, 'আমাকে আপনার রুটিওয়ালী মনেহচ্ছে?'
- 'তা তো হচ্ছে ই। এত দ্রুতগামী এক্সপ্রেসের মত আপনি রুটি বানাচ্ছেন।'
মিশু চোখ রাঙিয়ে বললো, 'ইহ সুন্দরমত কাজ করলেও দোষ! যদি না পারতাম তখন তো বলতেন মেয়েটা কোনো কামের ই না।'

মা হেসে বললেন, 'আমি ওরকম বলতাম না মোটেও। ঠিকাছে বাবা তুই রুটি বানা।'
- 'আমি বানাই আপনি ভাজুন।'

মিশুর কাজ আর কথার ধরণ দেখে দরজার আড়াল থেকে হাসলো মেঘালয়। একবার ওর দিকে তাকিয়ে আবার কাজে মনোযোগ দিলো মিশু। রুটি বানাতে বানাতে বললো, 'আমি প্রতিদিনই আম্মুর কাজে হেল্প করতাম বুঝলেন মা? আগে তো আম্মু সারাক্ষণ চেঁচাতো, কিচ্ছু করিস না, শ্বশুরবাড়ি গেলে ডালি ডালি কথা আসবে।'

হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)Onde histórias criam vida. Descubra agora