13

1.1K 37 0
                                    

১৩.

স্মার্টনেসের সংজ্ঞা শুনতে শুনতে অন্য এক জগতে প্রবেশ করেছিলো মিশু। আনমনা হয়ে নানান কথাই ভাবছিলো। সম্বিৎ ফিরে পেলে বুঝতে পারলো শরীরের অবস্থা সুবিধার নয়। অনেক খারাপ লাগছে, এভাবে সারারাত বসে থাকলে নির্ঘাত কঠিন কোনো অসুখ বাঁধবে।

বাধ্য হয়েই বললো, 'নৌকা তীরে ফেরান। আমি বাড়ি যাবো।'

মেঘালয় অবাক হয়ে বললো, 'বাড়ি যাবা মানে?'

- 'এখন তো বাড়িতে যাওয়া সম্ভব না। আপনাদের বন্ধুর বাড়িতেই চলুন আপাতত।'

- 'কোনো সমস্যা?'

- 'আমার খুব শরীর খারাপ লাগছে।'

মেঘালয় মাথাটা ঝাঁকালো। শরীর খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। নিজের এডভেঞ্চারের শখ পূরণের জন্য অন্য কারো শরীর অসুস্থ হোক সেটা হতে দেয়া যায়না। আজকে রাতে নৌকা নিয়ে বের হওয়াটা নিতান্তই বোকামী হয়ে গেছে। গত রাতে ট্রাকে জার্নি করে এমনিতেই মিশুর ঠাণ্ডা লেগে গেছে।

ভাবতে ভাবতে নৌকা তীরে ফেরালো মেঘালয়। মিশুর দিকে তাকিয়ে বললো, 'নামো।'

- 'আমার পা ঝিঝি লেগে গেছে। নড়াতেই পারছি না।'

মেঘালয় নিজেই উঠে লাফ দিয়ে নামলো নৌকা থেকে। তীরে কিসের সাথে নৌকাটা বেঁধে রাখবে সেটা খুঁজতে লাগলো। মিশু ওকে এভাবে কিছু খুঁজতে দেখে জিজ্ঞেস করল, 'কি খুঁজছেন?'

- 'নৌকাটা এখানে কোথাও বেঁধে রেখে যেতে হবে। যাওয়ার পথে মাঝির বাসায় ইনফর্ম করে যাবো। সে এসে নৌকা নিয়ে যাবে।'

- 'এদিক দিয়ে মাঝির বাসা খুঁজে পাবেন?'

- 'সমস্যা নেই, এখনো রাত বেশি বাড়েনি। রাস্তায় নিশ্চয়ই গাড়ি পাওয়া যাবে। তুমি আস্তে আস্ত ওঠার চেষ্টা করো তো।'

মিশু ধীরেধীরে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলো। মেঘালয় ওকে হাত ধরে নৌকা থেকে নামতে সাহায্য করলো। কিন্তু নৌকা বেঁধে রাখার মত কোনো খুঁটিই আশেপাশে খুঁজে পেলোনা। একটা হালকা খড়ির সাথে বেঁধে রেখে মিশুকে বললো, 'শক্তমতন খুঁটি দরকার একটা। তুমি কি এখন হাঁটতে পারবে?'

হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)Where stories live. Discover now