১৭
বাসর ঘর দেখে চোখ কপালে উঠে গেলো মিশুর। মিতু ওকে টেনে নিয়ে এসেছে এই ঘরে। কয়েকবার চোখ পিটপিট করে বললো, 'এই ফাজলামির মানে কি?'
মিতু উত্তর দিলো, 'বিয়ে হয়েছে বাসর হবেনা?'
- 'ফাজলামি করবি না। এই সম্পর্কটা থাকবে না, কাজেই এসব নাটক বন্ধ করাই ভালো।'
- 'সম্পর্ক থাকবে কিনা সেটা পরে দেখা যাবে। এরকম একটা হ্যান্ডসাম ছেলের সাথে বাসর রাতটা মিস করিস না।'
বলেই মুখ টিপে হাসলো মিতু। মিশু ক্ষেপে গিয়ে বললো, 'ইয়ার্কি মারছিস?'
- 'ইয়ার্কি না আপু। এলাকার মেয়েরা সবাই ভাইয়াকে দেখে ফিদা। আর তুই কিনা ভাব নিচ্ছিস? ভাইয়া যেমন হ্যান্ডসাম তেমনি ইউনিক পারসোনালিটি। আমার সাথে বিয়ে হলে সারাক্ষণ ওর কোলের উপর বসে থাকতাম।'
মিশু রেগে বললো, 'খুব শয়তান তো তুই। আমিতো ওকে ছেড়ে দিবো, তুই ওকে বিয়ে করে নিস কেমন?'
মিতু হো হো করে হেসে বললো, 'আমি সেকেন্ড হ্যান্ড ছেলে নেইনা। এনিওয়ে, তুই এখানেই শুয়ে পড়। একটু বাদে তোর মেঘ উড়ে উড়ে এসে বৃষ্টি নামাবে। আমি বরং রুমে গিয়ে ঘুমাই।'
মিশু মুখটা বিকৃত করে দ্রুত ঘর থেকে বেড়িয়ে পাশের রুমের দিকে যেতে লাগলো। মিতু একটা দৌড় দিয়ে পাশের রুমে গিয়েই দরজা লাগিয়ে দিলো। মিশু কয়েকবার দরজা ধরে টানাটানি করেও লাভ হলোনা। মিতু ভেতর থেকে বললো, 'আজকে আর খুলবো না। আমি ঘুমাবো, ডিস্টার্ব করিস না তো।'
- 'খোল বলছি।'
- 'কোনো লাভ নাই, মিতু একবার যা বলে তাই করে।'
মিশু এরপরও কয়েকবার দরজা ধরে টানলো কিন্তু মিতু কিছুতেই খুলবে না। ভয়ংকর ক্ষেপে গিয়ে মায়ের রুমে এসে দেখলো বাবা মায়ের চুলে বেনী করে দিচ্ছেন। ওনাদের মাঝে ঢুকে বিরক্ত করতে ইচ্ছে করলো না। বাধ্য হয়ে বাসর ঘরে চলে আসতে হলো। রুমে এসে দেখলো মেঘালয় বাবার লুঙি পড়ে বসে আছে সোফার উপর। কপালে সুক্ষ্ম ভাঁজ পড়লো মিশুর। ফিক করে হেসেও ফেললো মেঘালয়কে দেখে।
মেঘালয় মুচকি হেসে বললো, 'শ্বশুরের লুঙি পড়ে কেমন লাগছে আমায়?'

ВЫ ЧИТАЕТЕ
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Приключенияমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...