স্বপ্নতে খুব একটা কেনা কাটা করতে যাওয়া হয় না । আমার মত ব্যচেলরের জন্য জন্য সেখানে কেনাকাটা করতে যাওয়াটা বিলাশিতা ছাড়া আর কিছু না । তবে কি মনে করে আজকে এসেছিলাম । শুক্রবারে আমাদের এলাকার স্বপ্নটাতে বিস্কুট আর চকলেটের উপর অফার থাকে । একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি এই টাইপের । যদিও ফ্রি জিনিস কিনতে নেই কিন্তু মাঝে মাঝে আমি এখান থেকে বিস্কুট কিনে নিয়ে যাই । আজও তেমন ভাবে এসেছিলাম কিনতে ।
কিন্তু আজকে এসেই মনে হয় ভুল করে ফেললাম । বিস্কুট সেকশনে যাওয়ার সময় একেবারে অনিমার সাথে মুখোমুখি দেখা । এমন ভাবে দুজনের চোখাচোখি হয়ে গেল যে কোন ভাবে না দেখার ভান করে চলে আসাটা সম্ভব হল না ।
অনিমা আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো । বাধ্য হয়ে আমাকেও হাসতে হল । আমার দিকে তাকিয়ে অনিমা বলল
-কি খবর ? এখানে ?
আমি আবারও একটু বোকার মত হাসার চেষ্টা করলাম । তারপর বললাম
-এই একটু কেনা কাটা করতে এসেছি । তা তোমার কি খবোর ?
-এই তো চলছে ।আমি আর কথা বার্তা সামনের দিকে নিয়ে যেতে চাইলাম না । র্যাকে সাজানো বিস্কুটের দিকে মনযোগ দিলাম । কিন্তু পাশে তাকিয়ে দেখি অনিমা আমার দিকে তাকিয়ে আছে । ভদ্রতা করে আমাকেও তাকাতে হল ওর দিকে । অনিমা বলল
-তা এখন কোথায় চাকরি করছো ?
-এই তো একটা ছোটখাটো চাকরি করি ।
-আমিও একটা জবে ঢুকেছি । তা জীবনে কেউ এসেছে নাকি ?এই বলেই অনিমা হাসলো । ওর হাসিটা কেন জানি আমার আর আগের মত ভাল লাগলো না । অবশ্য একটা সময় ওর হাসিটা আমার খুব পছন্দ ছিল । এক সাথে আমরা একটা জব কোচিং করতাম । ওখান থেকেই ওর সাথে আমার পরিচয় । আস্তে আস্তে টুকটাক কথা শুরু হতে ভালই কথা বলতো । সত্যি বলতে কি ওকে বেশ মনে ধরেছিলো । সত্যি বলতে কি আমার ঘন ঘন প্রেমে পড়ার একটা অভ্যাস আছে । তাই আমি অনিমার প্রেমে পড়ে গেলাম । আকারে ইংগিতে ওটা ওকে বোঝাতেও লাগলাম কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম যে অনিমা যে আমার সেই ইংগিত গুলো বুঝতেই চাইলো না । আমার সাথে এরকম খুব একটা হয় না । মেয়েরা হয় আগ্রহী হয় নয়তো হয় না । সেটা ওদের আচরনেই প্রকাশ পায় । কিন্তু অনিমার সেসব কোন কিছুই ছিল না । না আগ্রহ না অনাগ্রহ ! আমি কিছু বলতেও পারি না ।
YOU ARE READING
পরমানু গল্প গুচ্ছ
Short Storyমাঝে মাঝে জীবনের গল্প বলতে হাজার শব্দ লাগে না। মাত্র অল্প কয়েকটা লাইন দিয়েই বলা হয়ে যায় পুরো গল্প। পরমানু অনু গল্প গল্প গুলো এমনই। ছোট গল্পের জগতে আপনাকে স্বাগতম ।