টুকরো জীবন দৃশ্য ০৩

331 26 1
                                    

রান্না ঘর থেকে বাইরে বের হতে গিয়েই ওর চোখ ড্রয়িং রুমের দিকের চোখ গেল । রান্না ঘর থেকে না বেরিয়েই প্রায় পুরো ড্রয়িং রুমটা ভাল করে দেখা যায় । আবীরের সাথেই ওর বাইরে যাওয়ার কথা । ওকে উইনিভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে আবীর অফিস যাবে । ড্রয়িং রুমে বসে চায়ের কাপে শেষ চুমুক দিচ্ছিলো আবীর আর খবরের কাগজে চোখ বুলাচ্ছিলো ।

মিতু দেখতে পেল আবীরের চোখ গেল মিতুর পার্সের উপর । পার্সটা ওর ব্যাগের উপরেই রাখা ছিল । আবীর আস্তে করে পার্ট টা তুলে নিল । তারপর একবার তাকালো এদিকে । মিতুর চট করে সরে গেল । আবীর ওকে দেখতে পেল না । মিতু আবার যখন ফিরে তাকালো দেখতে পেল আবীর ওর পার্সের ভেতরের টাকা গুনছে । তারপর নিজের পার্স বের করে দুইটা নোট মিতুর পার্সের ভেতরে ঢুকিয়ে আবার আগের স্থানে রেখে দিল । এমন একটা ভাব যেন পার্সটা সে কোন দিন স্পর্শই করে নি ।

মিতুর মুখে একটা মৃদু হাসি দেখা দিল । গত সপ্তাহেও আবীর নিশ্চয়ই এই কাজটা করেছে । পার্টে দুই হাজার দুটো নোট দেখতে পেয়ে ও বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলো প্রথমে । পার্সটা ওর কাছেই থাকে সব সময় । তারপর বুঝতে পেরেছে কে টাকা রাখতে পারে । আজকে চোখের সামনে দেখতে পেয়ে মনটা একদম ভাল হয়ে গেল ।

রান্না ঘর থেকে রান্না থেকে বেরিয়ে আবীরের সামনে গিয়ে হাজির হল । আবীর তখনও গম্ভীর মুখে পেপার পড়েই চলেছে । এমন একটা ভাব যেন কিছুই হয় নি । ও সব সময় এমন করেই থাকে ।

মিতুর খুব ইচ্ছে হল এই গম্ভীর মুখ থাকা গালটা একটু টেনে দিতে ।

করবে নাকি ?

নিশ্চয়ই খুব অবাক হয়ে যাবে !

মিতুর একবার ভাবলো । একবার মনে হল এসব কিছুই করার দরকার নেই । কিন্তু তারপর জোড়ে করে একটা দম নিল । তারপর হাতটা আবীরের গালের কাছে নিয়ে গিয়ে টেনে ধরলো ।

মিতু যা ভেবেছিলো তাই হল । আবীর অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো মিতুর দিকে । ওর চোখে জিজ্ঞাসা ।

মিতু খুব স্বাভাবিক কন্ঠে বলল

-ইচ্ছে হল !

পরমানু গল্প গুচ্ছDonde viven las historias. Descúbrelo ahora