আজকে ইরা আর দিপুর ভেতরে ব্রেক আপ হয়ে গেল৷ এমন একটা দিন যে ওদের জীবনে আসবে সেটা ওরা দুজনেই জানতো খুব ভাল ভাবে। আরও বলতে গেলে যখন ওরা দুজন মিলেই ঠিক করে রেখেছিল এমন ব্রেকাপের ব্যাপারটা৷
ক্যাম্পাসে যখন ওদের ভেতরে ভাব বিনিময় হয় তার মাস খানেক পরেই দিপু ওর সাথে এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলে। প্রথমে কথা শুনে ইরা বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিল৷ ওর ধারনাই ছিল না যে এমন কিছু দিপু ওকে বলতে পারে।
দিপু অনেকটা সরাসরি ওকে সেদিন বলল
-তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?
ইরা প্রথমে কি বলবে ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না। তখন সবে মাত্র ওদের সম্পর্ক শুরু হয়েছে৷
ইরার ইতস্তত ভাব দেখে দিপু একটু হাসলো। তারপর বলল,
-এই প্রশ্ন আমাকে করা হলে, আমিও হয়তো খানিকটা দ্বিধায় পরে যেতাম।
ইরা বলল
-আসলে আমি...
ওকে লাইনটা শেষ করতে না দিয়ে দিপু বলল
-বুঝতে পারছি। সমস্যা নেই। আসো, এখন আসল কিছু কথা সেরে নিই। তোমার সামনে আমি তিনটা অপশন দিলাম৷ তুমি যেটা ঠিক করবা আমাদের সম্পর্ক টা আমি সেই ভাবে সাজাবো। ঠিক আছে?
ইরা কিছু বুঝতে পারছিলো না। তবে মাথা নাড়ালো। ও আসলে শুনতে চায় দিপুর কি বলার আছে।
দিপু বলল,
-প্রথম অপশন হচ্ছে আমরা প্রেম করবো, কিন্তু কেউ বিয়ের কথা তুলবো না। কোন কমিটমেন্ট থাকবে না। যে যখন ইচ্ছে ব্রেক আপ করে চলে যেতে পারবে। ঠিক আছে?
ইরা মাথা ঝাকালো।
দিপু বলল
-দ্বিতীয় অপশন হচ্ছে আমরা আমাদের প্রেম নিয়ে একটু সিরিয়াস হব। দুজন দুজনের প্রতি একটা কমিটমেন্ট করবো বিয়ে করার কিন্তু সেটা নির্ভর করবে ফ্যামিলির সম্মতি চাকরি পাওয়া ইত্যাদির উপর। লাইক, আমরা দুজনই দুজনকে বিয়ে করতে চাই কিন্তু বাসা থেকে এই টা মেনে নিল না তখন বিয়ে করতে হবে না।
ইরা আবারও মাথা ঝাকালো। তারপর বলল
-আর তিন নাম্বারটা?
-তিন নাম্বার টা হচ্ছে, প্রেম করেছি, তোমাকেই বিয়ে করবো। তুমি ভাল চাকরি পেলে কি পেলে না, বাসায় রাজি হল কি হল না এতে কিছুই যাবে আসবে না৷ কমিটমেন্ট এমন হবে।লাইন গুলো বলে দিপু কিছু সময় চুপ করে রইলো। ইরাও খুজে পেল না কি বলবে। দিপু বলল
-যে কোন একটা চুজ কর। আমি তখন সেই ভাবেই তোমার প্রতি আমার অনিভূতি তৈরি করবো। পরে যাতে কষ্ট কম পেতে হয়৷
-এখনই বলতে হবে?
-না না এখনই না। সময় নাও। তারপর বল।
YOU ARE READING
পরমানু গল্প গুচ্ছ
Short Storyমাঝে মাঝে জীবনের গল্প বলতে হাজার শব্দ লাগে না। মাত্র অল্প কয়েকটা লাইন দিয়েই বলা হয়ে যায় পুরো গল্প। পরমানু অনু গল্প গল্প গুলো এমনই। ছোট গল্পের জগতে আপনাকে স্বাগতম ।