বাবা হওয়া...

203 15 1
                                    

নীলার মেজাজটা খুব খারাপ হয়ে আছে । কদিন থেকে নীলা একটা ব্যাপার খুব ভাল করে খেয়াল করে দেখছে যে সাজিদ সারাটা সময় কেবল মোবাইলের ভেতরে ডুবে থাকে । আগেও যে মোবাইল টিপতো না সেটা না । কিন্তু ইদানীং সেটা যেন বেড়ে গেছে অনেক বেশি পরিমানে ।

যেখানে এখন সাজিদের উচিৎ ওর প্রতি আরও বেশি বেশি খেয়াল রাখা । সেখানে সাজিদ সময় দিচ্ছে মোবাইলের উপর ।

চারদিন আগেই প্রেগনেন্সি রিপোর্টটা এসেছে । নীলা মা হতে চলেছে । বিয়ের বছর খানেক পার হয়েছে ওদের । এর আগে আরও বছর দুয়েক প্রেম করেছিলো । নীলা শুনেছে যে বিয়ে হয়ে গেলে নাকি পূরুষদের মন মানসিকতা বদলে যায় । প্রেম করে বিয়ে করলেও বউয়ের প্রতি তাদের আর আগ্রহ থাকে না । সত্যিই কি তাই? সাজিদ কি নতুন করে কিছু করছে অন্য কারো সাথে মিশছে ।

না । নীলার মন সায় দিল না এতে । সাজিদ এই রকম কিছু করতেই পারে না । অন্তত এই কদিনে ওর আচরনে এমন তো মনে হয় নি । তাহলে হঠাৎ করে এমন ভাবে মোবাইলের প্রতি বেশি আসক্ত কেন হয়ে গেল?

রাতে সাজিদ ঘুমিয়ে পড়ার পরেই নীলা উঠে বসলো খুব সাবধানে । তারপর আস্তে করে সাজিদের মোবাইলটা হাতে নিল । ওর হাতের ছাপ দিয়েই লকটা খুলে নিল । এবার সে দেখবে কি করে সে ফোনে ।

ফোনের সব মেসেজ চেক করলো । ফেসবুক হোয়াটসএপ সব কিছু । সব স্বাভাবিক । পরিচিত বন্ধু বান্ধদের সাথে টুকটাক কথা । তাহলে এতো সময়ে সে কোন এপটা ব্যবহার করেছে । সেটা জানার জন্য সে সেটিংস এ গিয়ে খুজতে লাগলো কোনটা এপটা ব্যবহার বেশি হয়েছে । দেখতে পেল গুগল ক্রমটাই বেশি ব্যবহার করেছে সে ।

আচ্ছা তাহলে কি খুজছে সে !

ক্রমটা ওপেন করে সার্চ বক্সের হিস্ট্রি চেক করলো সে । সাথে সাথেই নীলার চোখ সিক্ত হয়ে উঠলো । নিজের উপর খুব বেশি রাগ হল ওর । এমন একটা চিন্তা কেন এল ওর মনে ! ছি

আস্তে আস্তে প্রতিটা সার্চ রেজাল্ট দেখতে শুরু করলো । কত গুলো রেজাল্ট এসেছে সব গুলো লালচে হয়ে আছে । অর্থ্যাৎ সাজিস প্রতিটা সার্চ রেজাল্টের উপরে ক্লিক করেছে । পড়েছে । প্রতিটা আর্টিকেল হাউ টু বি এ গুড ফাদার, হাউ টু টেক কেয়ার প্রেগনেন্ট ওয়াইফ এই সম্পর্কে । খবরটা জানার পর থেকেই ও নেটে রিসার্চ করছে কিভাবে ভাল বাবা হওয়া যায় কিভাবে প্রেগনেন্ট স্ত্রীর টেক কেয়ার করা যায় ।

ফোনটা রেখে সে সাজিদের দিকে একভাবে তাকিয়ে রইলো । ওর ঘুমন্ত মুখটাকে মনে হল যেন সব সুন্দর একটা দৃশ্য । চোখ দিয়ে কখন পানি বের হয়ে এসেছে সেটা সে নিজেও বলতে পারবে না । কেবল মনের ভেতরে একটা তীব্র আনন্দবোধ হচ্ছে । মনে হচ্ছে যে সাজিদ একজন চমৎকার বাবা হবে । 

ফোনটা রেখে সে সাজিদের দিকে একভাবে তাকিয়ে রইলো । ওর ঘুমন্ত মুখটাকে মনে হল যেন সব সুন্দর একটা দৃশ্য । চোখ দিয়ে কখন পানি বের হয়ে এসেছে সেটা সে নিজেও বলতে পারবে না । কেবল মনের ভেতরে একটা তীব্র আনন্দবোধ হচ্ছে । মনে হচ্ছে যে সাজিদ একজন চমৎকার বাবা হবে । 

Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.
পরমানু গল্প গুচ্ছWhere stories live. Discover now