নাফিজার রাগ দেখে রাজিব কি বলবে বুঝতে পারছে না। এতো রেগে যাওয়ার কারনটাও ঠিক ধরতে পারছে না। এমন কোন অন্যায় তো সে করে নি। ওর এক বদ অভ্যাস রয়েছে। অনেকটাই ছাড়িয়ে নিয়েছে তবে মাঝেমাঝে সেটা সামনে চলে আসে৷
নাফিজা রাজিবের দিকে কঠিন চোখে তাকিয়ে বলল, আজকের পর থেকে আর আমাকে ফোন দিবা না। আমাদের সম্পর্ক এখানেই শেষ।
রাজিব বলল, আরে একটু বোঝার চেষ্টা কর। আসো আমরা একটু প্রাইভেটে গিয়ে কথা বলি।প্রাইভেট শব্দটা শুনেই নাফিজা আরও তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। চিৎকার করে বলল
-প্রাইভেট মারাস শয়তান! প্রাইভেট!! আর একবার যদি তোর মুখে প্রাইভেট কথা শুনি একদম জিভ টেনে ছিড়ে ফেলবো।রাজিব অসহায়ের মত এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো। মানুষ জন ওদের দিকে তাকাচ্ছে। কেউ কেউ মুখ টিপে হাসছে।
ঘটনা তেমন কিছুই না। রাজিব বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই অনলাইন বিজনেস করে। ওর ফেসবুক পেইজে নানান জিনিস বিক্রি হত। কেউ কোন প্রোরডাক্টের দাম জিজ্ঞেস করলেই কিংবা প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে চাইলেই সে নিচে বলতো ইনবক্সে আসুন, প্রাইভেটে বলছি।
রাজিব ছেলে হিসাবে ভাল কেবল এই বদ অভ্যাসটা রয়েই গেছে। কেউ কিছু জানতে চাইলেই বলে ইনবক্সে আসুন কিংবা প্রাইভেট রুমে চলেন।আজকে রাজিবের একটা ইন্টারভিউ ছিল। নাফিজার বড় মামাত অফিসে। সব কিছু ঠিকঠাক। কেবল রাজিবকে একটা লোকদেখানো ইন্টারভিউ পাস করতে হবে। সব ভালই চলছিলো। কিন্তু যখন নাফিজার মামা ওকে বলল, তো নিজের সম্পর্কে কিছু বল।
রাজিব তার অভ্যাস মত বলল, স্যার প্রাইভেট রুমে চলেন বলতেছি। আসল জিনিসও দেখাবো।নাফিজার মামা নাফিজাকে ফোন করে বলে দিয়েছে, এই ছেলে থেকে সাবধান। এর মতিগতি মোটেই ভাল না।
চাকরি তো হলই না। নাফিজাও তাকে ছেড়ে চলে গেল।
YOU ARE READING
পরমানু গল্প গুচ্ছ
Short Storyমাঝে মাঝে জীবনের গল্প বলতে হাজার শব্দ লাগে না। মাত্র অল্প কয়েকটা লাইন দিয়েই বলা হয়ে যায় পুরো গল্প। পরমানু অনু গল্প গল্প গুলো এমনই। ছোট গল্পের জগতে আপনাকে স্বাগতম ।