Chapter 9 | Part 1

84 3 0
                                    

নির্বাণদের ফাইনাল পরীক্ষার আর কয়েকমাস বাকী। ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ জোরকদমে চলছে। পড়ুয়ারা ভবিষ্যতের কম্পাস হাতে নিয়ে দিক নির্ণয়ে সদা ব্যস্ত। চাকরিজীবন শুরুর আগেই সবাই ঘোড়দৌড়ের জন্য তৈরি। প্রত্যেকেই পছন্দের চাকরি বা কোম্পানিকে পাখীর চোখ করে লক্ষ্যভেদের অপেক্ষায়। কুরুক্ষেত্র যে আজও বর্তমান তা এই পরিবেশের উপর নজর রাখলে পরিষ্কার বোঝা যায়। মানুষের শক্তি অগাধ, উদ্যম-উৎসাহ অবাধ। সেই শক্তিতে বলীয়ান হয়ে উৎসাহের আতিশয্যে বিজ্ঞানীরা অন্তরীক্ষ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠে নিরন্তর অনুসন্ধান করে চলেছেন প্রকৃতির গুপ্ত ভাণ্ডারের রহস্য, কবি-সাহিত্যিকরা রচনা করে চলেছেন তাদের বিরল অভিজ্ঞতার কাহিনী, চিত্রশিল্পীরা রঙের জাদুতে মানুষকে মুগ্ধ করছেন যুগের পর যুগ। কার ভিতর কোন সম্ভাবনার বীজ সুপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তার খবর নেই কারও কাছে, তাই বোধহয় অনুসন্ধানী মন নিজেকে খুঁড়ে, প্রয়োজনে ক্ষতবিক্ষত করেও পেতে চায় তার স্বাদ। প্রত্যেকেই তার অস্তিত্বের দাগ রেখে যেতে চায়, তা রক্তের ধারক বাহক হয়েই হোক বা শিল্পকর্মে।

নির্বাণ, সোনালি দু'জনেরই লক্ষ্যভেদ হয়েছে। নির্বাণ ক্যাপিটাল মার্কেট সংক্রান্ত কোম্পানিতে, আর সোনালি পছন্দের ব্যাঙ্কে নিজেদের ভবিষ্যৎ আপাতত ঠিক করে ফেলেছে। পাঁচ বছর আগে কলেজে দোলের পরদিন সোনালির গায়ে রং দেওয়া নিয়ে বচসার শুরু কলেজের একদল ছেলের সাথে, এবং সেই সূত্র ধরে নির্বাণের সাথে তার আলাপ। ছোট বড়ো নানা অভিজ্ঞতার চৌকাঠ পেরিয়ে এখনও একসাথে চলছে দু'জনে। কিন্তু সাফল্যের স্বাদ পেতে বা মনোমত চাকরির দুরূহ আকর্ষণে এই মোড় থেকে দু'জনের রাস্তা দু'দিকে যেতে বাধ্য।

কলেজের দিনগুলো যেমন সবসময় উত্তেজনায় তুবড়ির মতো ঠাসা থাকত, নূতন চাকরিতেও নিশ্চয়ই নিত্য নূতন চমকে আগামী দিনগুলো ভরাট থাকবে, তবে এক্ষেত্রে দায়িত্ব অনেক বেশী। কলেজ জীবনের এলোপাথাড়ি ঘোরাঘুরি এখানে সম্ভব নয়, সেখানে জায়গা করে নেবে কেতাদুরস্ত ট্যুর। কখনো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, আবার কখনো বা পদন্নোতির তাগিদে পাড়ি দিতে হবে বিদেশে। জিনস আর টী-শার্টের দিন শেষ। এবার গায়ে চড়বে নামী-দামী কোম্পানির পোশাক।

Khelaghar | খেলাঘরHikayelerin yaşadığı yer. Şimdi keşfedin