"Microscope ছেড়ে UV Ray ফেলে দেখো কোনো লেখা বোঝা যাচ্ছে কি না", ইরার কথা মতো দুজন তাই করল। আর খুব অদ্ভুত ভাবে সত্যিই ফুটে উঠল লেখা। একজন বলল, " ম্যাম! এটা তো অন্য কোনো ভাষায় লেখা। আর একটা করে চারটে শব্দ আছে শুধু।" ইরা এগিয়ে গিয়ে দেখল সেখানে সংস্কৃত ভাষায় লেখা আছে কিছু। ইরা কথা না বাড়িয়ে ওদের বলল, কেস এখানে ক্লোজ করে বাড়ি ফিরে যেতে।
ইরা একজন গোয়েন্দা। আর তার দুই হেল্পার আছে, যাদের একজনের নাম বিপ্লব, আরেকজন অর্নব। মূলত পুলিশি ঘটনার তদন্ত করে ইরা, আর এইজন্যই তার খুব নাম ডাক। এখনো অবধি এরকম কোনো কেস আসেনি, যেটা ইরা সল্ভ করতে পারেনি। তাই এক ডাকেই সবাই চেনে ইরা সেন কে। কিন্তু এবারের ঘটনাটা একটু অন্যরকম। প্রতিবার ইরাকে ধরতে হয় আসল খুনি, আর কারবার করতে হয় ক্রিমিনাল মানুষজন নিয়ে। শুধু এবারে সে একটা আংটি নিয়ে কেস পেয়েছে। একটা হীরের আংটি, যেটা চুরি গেছে গয়নার দোকান থেকে। সাধারনত এরকম ধরনের কেস ইরা আগে পায়নি। তবে এবারে এটা পেয়ে সে খুব খুশি হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের কেস হ্যান্ডেল করলে তবেই তো তার নাম ডাক বাড়বে। তদন্তের পর পাওয়া গেছে সেই দোকানের ম্যানেজারের টেবিলের তলা থেকে একটা সাদা কাগজ। সেই কাগজের উপরেই Microscope দিয়ে দেখার চেষ্টা করছিল বিপ্লব আর অর্নব। শেষমেশ UV Ray দিয়ে কাজ সম্পন্ন হওয়ায় ইরা দুজনকে বাড়ি যেতে বলে।
আজকে রবিবার, ছুটির দিন। ইরা সকাল সকাল তৈরী হয়ে গয়নার দোকানে যায়। সেখানে যেতেই সবাই তাকে আপ্যায়ন করে ভিতরে ম্যানেজারের ঘরে নিয়ে যায়। শুরু হয় কথা বলা। ইরা জিজ্ঞেস করে, "সেদিন কটা কাস্টোমার এসেছিল আপনার কাছে? বাইস ক্যারাটের হীরে দেখা জন্য?"
ম্যানেজার বলেন, "টোটাল দুশো জন মতো এসেছিলেন, আর ভিতরে এসেছিলেন তিন জন। তার মধ্যে থেকে আমার সন্দেহ হয়েছে একজনের উপর।"
ইরা- "তার মধ্যে কি কিছু অন্য রকম দেখেছিলেন?"
ম্যানেজার- "হ্যা, বাকিরা এসে একবার দুবারেই হীরে পছন্দ করে নিয়েছিলেন। কিন্তু উনি আমার কাছে সাত বার সাত রকম হীরে দেখতে চেয়েছিলেন, তাও শুধু বাইশ ক্যারাটের। মনে হল ওনার বাইশ সংখ্যাটা খুব পছন্দের। আর তার পরেই দেখলাম যে সাতটা হীরের মধ্যে একটা হীরে নকল, যেটা আমার লকারে রাখা এখনো। আর তার সাজ পোশাক ও ছিল অন্য রকম। লাল চেলীর ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকা, হাতে কয়েকটা লাল কাঁচের চুড়ি।"
YOU ARE READING
~HAWAII~
FantasyStory about the island Hawaii...created with the favourite person, with love and Imagination.
