তারপর! ধীরে ধীরে শেষ হয়ে গেল গোটা একটা বছর। পুরোনো সেই ৩৬৫ দিনের এক এক ঝলক স্থান পেল মনের মনিকোঠায়। ঠিক এক বছর আগেও যেভাবে এই দিনটা পালন করেছিলাম, তার সিকিভাগ ও যেন পাল্টাইনি। রাত্রি বারোটা বাজলেই Happy New Year এর মেসেজ, রাত্রি বারোটা বাজলেই টুনি বাল্বের আলোর রোশনাই আর তার সাথে বাজি ফাটানো।
এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ মনে পড়ল ছোটোবেলার সেই গ্রিটিং কার্ডের কথা। প্রথম কিনে আনা সবচেয়ে সুন্দর কার্ডে নিজের প্রিয় বন্ধুর নাম লেখা আর নতুন বছরের প্রথম কার্ডটা তার হাতেই দেওয়া। ঠিক একই ভাবেই প্রিয় বন্ধুর হাত থেকে বছরের প্রথম নিজের গ্রিটিং কার্ডটা নেওয়া। কি একটা আনন্দে মাখা দিন ছিল সেগুলো। আবার সারা মাস কার্ড সংগ্রহ করে শেষ দিন গিয়ে হিসেব করা কে কতগুলো বেশি পেয়েছে। আচ্ছা! আমরা নিজেরা চাইলেই তো আবার সেই দিন গুলো ফিরিয়ে আনতে পারি! দূরত্বের কারনে হয়ত কারোর হাতে হ্যান্ডমেড গিফ্ট বা কার্ড দেওয়া সম্ভব নয় কিন্তু একটা কল তো দেওয়া যেতেই পারে।আর না ভেবে ফোন করেই ফেললাম অনেক তলায় চলে যাওয়া সেই নাম্বারে রাত্রি বারোটার সময়।ওপার থেকে প্রিয় বন্ধুর কাছে বছরের প্রথম Happy New Year wish শুনে মনে হল এটা যেন ঠিক সেই সবচেয়ে বেশি সুন্দর গ্রিটিং কার্ডে লেখা আমার নাম, প্রিয় বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া।শুরু হল নতুন একটা বছর খুশির ঝলক নিয়ে।
YOU ARE READING
~HAWAII~
FantasyStory about the island Hawaii...created with the favourite person, with love and Imagination.
