বিরহের বসন্ত

5 1 0
                                        


অশ্রুর শেষ ফোঁটাটা যখন আরও একটু বেশি রক্তিল করেছিল আমার দুই চোখ, ঠিক সেই মুহূর্ত পর্যন্তও আমি তোকেই চেয়ে গেছি। হয়ত আমাদের প্রেমটা বিরহেই বাঁচে। সেই ছোটো বেলার খেলার ছলে হওয়া ভালোবাসাটা নিছক ছেলেমানুষী ছিল না। তা হলে বোধ হয় দশ বছরের অপেক্ষাটা বড়োই বেশি মনে হত। নিজের ছেলেমানুষী ভেবে যে প্রেমটা বোঝার জন্য, নিজের পরিপূর্ণ নারী হওয়ার জন্য প্রহর গুনেছিলাম দশটা বছর ধরে, তা আমায় বিরহ ছাড়া কিছু বুঝতে দেয়নি। তখন বসন্ত নয়, আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিল অবহেলা। সেজন্যই তো, আমাদের প্রেমটা বিরহেই বাঁচে। বড়ো হওয়ার পর যখন তোর সাথেই ঠিক সেই ছোটো বেলার ভালোবাসাটাকে তাচ্ছিল্য করি নিছক ছেলেমানুষী হিসেবে, আমার হৃদয়ের কোনো একটা পুরোনো গভীর ক্ষততে সজোরে আঘাত লাগে। মোচড় দিয়ে ওঠে হৃৎপিন্ড। সমস্ত মান অভিমান দলা পাকিয়ে আটকে যায় কন্ঠে। ছটফট করে তারা বাইরে বেড়িয়ে আসার জন্য। তবুও, সেই ম্লান হাসি দিয়ে আড়াল করি সব, আড়াল করি আমার সেই ছোটোবেলার ছেলেমানুষীকে। কোনো এক গভীর ক্ষত এর জমাট বাঁধা রক্তের মতো যেন আস্তরণ পড়েছে তোর প্রতি ভালোবাসার। আর সামান্য আঘাত পেলেই কাঁচা রক্তের মতো বইতে থাকবে আমার সমস্ত অগোছালো আবেগ, মান, অভিমান, ভালোবাসা, রাগ আর দুঃখ। সেই সামান্য আঘাত থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। সেটুকু নাহয় অগোচরেই থাক! আর, আমাদের প্রেমটা নাহয় এমন বিরহেই বাঁচুক আজীবন! আমার জীবনের বসন্ত গুলো নাহয় ক্ষ্যাত হোক বিরহ নামেই!
শিল্পা প্রামানিক

~HAWAII~Where stories live. Discover now