রাত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানটা ছোট একটা রেস্টুরেন্টুে হল । ঠিক অনুষ্ঠান না আসলে । ওরা ৫ জন বন্ধু মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে হাজির হল । একটা কেক কাটা হল । খাওয়া দাওয়া হল ! এই হচ্ছে অনুষ্ঠান ! কেকটা একটু বড়ই কেনা হয়ে গিয়েছিলো । পাশের কুকার্স থেকে কেনা । এর থেকে ছোট কেক আর ছিল না । অনেক খানি কেকই রয়ে গেল । রেস্টুরেন্ট থেকে সবার আবার আরেক স্থানে যাওয়ার প্লান রয়েছে । হাতে করে এই কেক নিয়ে যাওয়ার কোন মানে নেই । ঠিক হল যে রেস্টুরেস্টে আরও যতজন কাস্টোমার আছে সবাইকে এক পিচ করে কেক দেওয়া হবে ।
রাত্রী আর নিলয় আস্তে আস্তে সব টেবিলে গিয়ে একটু একটু করে কেক দিয়ে এল । অনেকেই খুশি হল । হ্যাপি বার্থ ডে বলল । তারপর রেস্টুরেন্ট স্টাফদের মাঝেও কেক দেওয়া হল । কেক বন্টন করে ওরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে যখন গল্প করছিলো তখনই একজন কালো স্যুট পরা সুদর্শন মানুষ ওদের টেবিলের সামনে এসে দাড়ালো ।
মানুষটা রেস্টুরেন্টের গেস্টদের একজন সম্ভবত । একটু আগে তাকেও কেক দেওয়া হয়েছে । টেবিলের সামনে দাড়িয়ে একটু হাসলো সবার দিকে তাকিয়ে । বলল, তোমাদের ভেতরে কার জন্মদিন? সরি, তুমি করেই বললাম । বয়সে আমি তোমাদের থেকে একটু বড়ই হব ।
নিলয় বলল, না না ঠিক আছে সমস্যা নেই । আমরা আপনার ছোটই হব । এই যে আমার বন্ধু রাত্রীর জন্মদিন !
লোকটা বলল, হ্যাপি বার্থ ডে রাত্রী । অনেক দিন পরে আমি আসলে জন্মদিনের কেক খেলাম ! অনেক দিন পর । থ্যাঙ্কিউ ফর দ্য কেক !
নিলয় কিছু বলতে যাচ্ছিলো, রাত্রী একটু হেসে বলল, না না ঠিক আছে ভাইয়া, ঠিক আছে । ইউ আর ওয়েলকাম !
-কেক যখন খাইয়েছো তখন উপহার তো দিতেই হবে !
-না না । কি যে বলেন !
রাত্রী সহ সবাইকে অবাক করে দিয়ে লোকটা নিজের স্যুটের ভেতরের পকেট থেকে একটা কালো কাগজে মোড়া উপহার বক্স বের করলো । তারপর সেটা রাত্রীর দিকে এগিয়ে দিল ।
রাত্রী বলার চেষ্টা করলো যে ভাইয়া প্লিজ ...
লোকটা বলল, মন থেকে দিচ্ছি নাও । কেউ উপহার দিলে নিতে হয় ! কেমন ! হ্যাপি বার্থ ডে এগেইন !
YOU ARE READING
বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)
Short Storyব্লগে গল্প লিখছি সেই ২০১১ সাল থেকে । অনেক গল্প সেখানে জমা হয়ে গেছে । সেই গল্প গুলোই আস্তে আস্তে এখানে এনে জমা করা হচ্ছে । দুইটা ভলিউম এর আগে প্রকাশ হয়েছে ।