-এতো রাইতে এই খানে কি করেন ?
আমি এক মনেই একটা দিকে তাকিয়ে ছিলাম । ঘড়িতে রাত একটার কিছু বেশি বাজবে হয়তো । পকেটে মোবাইল রয়েছে, বের করতে ইচ্ছে করছে না । প্রশ্ন কর্তার দিকে ফিরে চাইলাম । ফিরে তাকিয়ে দেখি প্রশ্ন কর্তা একা নন । তার সাথে আরও একজন আছে । পরনে খাকি পোষাক তবে পুলিশের না, নাইট গার্ডের । সাথের জনের এক হাতে বড় একটা চায়ের ফ্লাক্স অন্য হাতে একটা বালতি । যে হাতে ফ্লাক্স ধরা সেই হাতেই একটা পলিথিনের প্যাকেকে সিগারেটের অনেক গুলো প্যাকেট ।
আমার পরনে অনামিকার দেওয়া কালো রংয়ের একটা পাঞ্জাবী । মোটামুটি বেশ ভাল দামী । এই পোশাকে আমাকে মোটামুটি নিরীহ আর ভদ্র মনে হয় । আমি মোটামুটি মুখটা নীরিহ করে বললাম
-কিছু না বসে আছি ।
-এইখানে কি ?
-দেখছেন না বসে আছি । হাটছিলাম । হাটতে হাটতে ক্লান্ত হয়ে গেছি তাই বসে জিরিয়ে নিচ্ছি ।
আমার কথা শুনে মনে হল না নাইটগার্ড সাহেব খুব একটা বিশ্বাস করলেন । আমার দিকে সন্দেহের দিকে তাকাতে লাগলেন । নিশ্চয়ই আমাকে নেশা খোর মনে করছে । যদিও তা মনে করার কথা না ।
-কতক্ষন বইবেন ?
-সেই তো বলা মুশকিল । যতক্ষন ভাল লাগে ।
ভ্রাম্যমান চাওয়ালার সাথে কি যেন আলোচনা করে নিল সে । মনে হয় আমার দিকে তাকিয়ে একটু দ্বিধায় পরে গেছে । তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-এইটা ভদ্দোর লোকের এলাকা ।
-আপনার কি মনে হয় ? আমি কি অভদ্রলোক ?
-ভদ্দোর লোকেরা এতো রাতে বাইরে থাকে না । যান যান ।
এই কথা বলেই নাইট গার্ড হাটা দিতে উদ্ধত হলেই আমি বললাম
-আচ্ছা । যাচ্ছি । আগে এক কাপ চা খেয়ে নেই তারপর যাই ।
তারপর চাও্য়ালার দিকে তাকিয়ে বললাম
-চা সাহেব, তিন কাপ চা বানান । ভাল করে ।
তিন কাপ শুনে দুজনেই আবারও আমার দিকে তাকিয়ে একটু অবাক হয়ে । সোডিয়াম লাইটে আমি সেই চেহারা দেখতে পাচ্ছি স্পষ্ট । চা ওয়ালার মনে স্পষ্ট দ্বিধা । আমি মানুষ একজন চা বানাতে বললাম তিন কাপ । ঘটনা কি ।
YOU ARE READING
বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)
Short Storyব্লগে গল্প লিখছি সেই ২০১১ সাল থেকে । অনেক গল্প সেখানে জমা হয়ে গেছে । সেই গল্প গুলোই আস্তে আস্তে এখানে এনে জমা করা হচ্ছে । দুইটা ভলিউম এর আগে প্রকাশ হয়েছে ।