হাসপাতালের নাম টা আমি আরেকবার পড়লাম । ধানমন্ডি এলাকার সব থেকে বড় হাসপাতাল । এর আগে আমি কোন দিন এতো বড় হাসপাতালে ঢুকি নি । একটু অবশ্য দ্বিধা কাজ করছিলো । কিন্তু সেই সাথে ইশানার কাছে যাওয়ার জন্যও একটা তাগিত অনুভব করছিলাম । মেয়েটা কেমন আছে কে জানে ? যদিও আমি যতদুর জানি যে এই রকমের কেস এই টাইপের প্রাইভেট হাসপাতালে হ্যান্ডেল করা হয় না । সেগুলো নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যালে । সুজন ঠিক মত খবর দিয়েছে তো ?
আমি রিসিপশনের দিকে এগিয়ে গেলাম । এই রাতের বেলা সেটা একটু ফাঁকাই বলা চলে । একটা লোক বসে ছিল । আমি সামনে দাড়াতেই বলল
-বলুন ! তবে এখন কিন্তু ভিজিং আওয়ার নেই ।
-আসলে আমি ইশানা নামের একজনের সাথে দেখা করতে এসেছি ।
-ইশানা ? আপনাকে আগেই বলেছি এখন ভিজিটিং আওয়ার চলছে না । কালকে আসবেন । সকাল ৯ টা থেকে ১১ আর বিকেল ৪ টা থেকে ৬ টা । এখন কোন দেখা হবে না । আগামী কাল ।
একটু যেন বিরক্তই মনে হল লোকটা কে !
আমি প্রথমে এদিক ওদিক তাকালাম । কেউ আমাকে এখানে সাহায্য করবে না । এমন কি এমন কেউ নেইও পরিচিত যাকে আমি ফোন করতে পারি । এক ইশানা ছিল সেতো নিজেই এখানে ভর্তি হয়ে আছে । আমার ফোনের জবার সে দিতে পারবে না । আমি আরেকবার এগিয়ে গেলাম রিসিপশনের দিকে । বললাম
-আসলে আমি ঘন্টা খানেক আগে আসা একটা সুইসাইড এটেম্প কেসের কথা জানতে চাচ্ছি ।
দেখলাম লোকটার চেহারা মুহুর্তেই বদলে গেল ।
-ইশানা মানে ইশানা চৌধুরী ?
-জি ।
-আপনি কি হন ওনার ?
-সেটা কি বলা খুব জরুরী ?
-আপনার নাম কি তপু বা এরকম কিছু ?
-অপু !
এবার লোকটার চেহারা আগের থেকেও একটু বেশি ফ্যাঁকাসে হয়ে গেল । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-প্লিজ আপনি কিছু মনে করবেন না । আমি আসলে ঠিক চিনতে পারি নি ।
আমি খানিকটা দ্বিধা নিয়ে বললাম
-আমাকে কি আপনার চেনার কথা ?
YOU ARE READING
বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)
Short Storyব্লগে গল্প লিখছি সেই ২০১১ সাল থেকে । অনেক গল্প সেখানে জমা হয়ে গেছে । সেই গল্প গুলোই আস্তে আস্তে এখানে এনে জমা করা হচ্ছে । দুইটা ভলিউম এর আগে প্রকাশ হয়েছে ।