কোয়ারেন্টাইনের দিন গুলোতে প্রেম

682 28 2
                                    

দরজাতে কত সময় ধরে বেল বাজছে কে জানে ? আমি কোন মতে চোখ খুলে তাকালাম । বালিশের পাশে মোবাইলটার দিকে তাকিয়ে দেখি সবা মত্র ৭টা বাজে !

মেজাজটা খারাপ হল । এই সকাল বেলা কে এল এখানে ?

পুরো শহরে লক ডাউন করা হয়েছে । করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই মূলত এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । সবার বাইরে বের হওয়ার উপর এক প্রকার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । বলা হয়েছে যে দরকার ছাড়া কেউ যেন বাইরে বের হয় । আর আমার কাছে কারো দরকার থাকতে পারে না । তাও আবার এই সকাল বেলা । সরকারের আদেশ অমান্য করে কে বাসায় ?

এই আইন অমান্যকারীকে আজই জেলে দেওয়া উচিৎ ।

আরও দুবার বেল বাজলো ! বিরক্ত হয়ে উঠলাম । এই লোক আমার দেখা না পেয়ে যাবে না বুঝ যাচ্ছে । কি আর করা !

হাই তুলতে তুলতে উঠলাম । দরজা খুলে খানিকটা চমকাতে হল । কারন কোন লোক আসে নি আমার সাথে দেখা করতে । এসেছে একটা মেয়ে !

মেয়েটাকে এর আগে সম্ভবত দেখেছি আমি !

কোথায় দেখেছি ?

আমি খানিকটা জিজ্ঞসু চোখে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম । এই মেয়ে আমার কাছে কি চায় ?

মেয়েটি বলল, একটু হেল্প দরকার !

-বলুন !

-আমাকে একট কফি ধার দেওয়া যায় !

আমি তখনই মেয়েটাকে চিনতে পারলাম । আরে এই মেয়ে তো আমার নিচের ফ্লোরে থাকে । আমার আগেই বুঝা উচিৎ ছিল পোশাক দেখে । মেয়েটার পরনে একটা টিশার্ট রয়েছে । সেই একটা টাইট থ্রিকোয়াটার প্যান্ট । মুখে কোন মেকাপ নেই । চুল গুলো একটু অগোছালো । কোন মেয়ে যখন এই অবস্থায় অন্যের বাসায় যাবে না । সম্ভবত আমার মতই মেয়েটাও ঘুমিয়ে ছিল এতো সময় ।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এতো বাসা থাকতে এই মেয়ে আমার কাছে কফি ধার চাইতে কেন আসলো ? এই এপার্টমেন্টে মোট ৪০টা ফ্লাট আছে । প্রতি ফ্লোরে পাঁচটা । মেয়েটার ফ্লোরে আরও চারটা ফ্লাট থাকার কথা । সে সেখানে না গিয়ে সরাসরি আমার কাছে কেন এল ? তার উপর এই মেয়ের সাথে আমি এর আগে কথাও বলি নি ।

বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)Where stories live. Discover now